রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জলাতঙ্ক টিকা নেওয়ার হার বেড়েছে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

জলাতঙ্ক টিকা নেওয়ার হার বেড়েছে

বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকা নেওয়ার হার বেড়েছে হাসপাতালগুলোয়। জেলা পর্যায়ে মাসে ৩-৪ হাজার মানুষ আসছে টিকা নিতে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অনেকেই টিকা নিতে আসছে না। পথকুকুর ও বিড়ালকে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন আক্রান্তরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বিশ্বে বছরে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ জলাতঙ্কে মারা যায়। এ মৃত্যুহার কমাতে বাংলাদেশেও জেলায় জেলায় ‘ম্যাস ডগ ভ্যাকসিনেশন’ কর্মসূচির আওতায় ব্যাপকহারে কুকুর-বিড়ালকে টিকা দেওয়া হয়েছে। গত মার্চে এ কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপে কুষ্টিয়ায় প্রায় ২৭ হাজার পথকুকুর ও বিড়ালকে টিকা দেওয়া হয়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোনিয়া কাওকাবী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা ৮৯ ভাগ কুকুরকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। এর বাইরেও পোষা প্রাণীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে জেলা-উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালে।’ পোষা বিড়াল নিয়ে কুষ্টিয়া ভেটেরিনারি হাসপাতালে আসা সোহেল রানা বলেন, ‘বাড়ির শিশুদের নিরাপদ রাখতে ডাক্তারের পরামর্শেই র‌্যাবিসের টিকা দিচ্ছি।’ এদিকে কুষ্টিয়ার হাসপাতালগুলোয় প্রাণীর কামড়ে বা আঁচড়ে টিকা নিতে আসা লোকজনের ভিড় বেড়েছে। শিশু রামিমকে নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আসা তার বাবা আসলাম বলেন, ‘কুকুর-বিড়ালকে নিয়মিত টিকা দিলে আামাদের জলাতঙ্কের ভয় দূর হতো।’ একই দাবি জানান টিকা নিতে আসা মরিয়ম। এ হাসপাতালের ভ্যাকসিন ইনচার্জ মোছা. সাহার বানু বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১১০ জন বিনামূল্যে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকা নিতে আসছেন। এর মধ্যে কুকুরের চেয়ে বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ে আক্রান্তরাই বেশি। তিনি বলেন, বিড়াল পোষার প্রবণতা বেড়েছে। সে কারণে বাড়ি থেকে কামড় বা আঁচড় দিলে এরা টিকা নিতে চলে আসছেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালেই প্রতি মাসে ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার মানুষ টিকা নিতে আসছেন। তবে সচেতনতার অভাবে কামড় বা আঁচড়ে আক্রান্ত অনেকেই আসছেন না টিকা নিতে। তিনি বলেন, জলাতঙ্ক হয়ে গেলে আর রক্ষা নেই, তাই প্রাণীর কামড় বা আঁচড়ে আক্রান্ত হলে প্রতিষেধক টিকা নিতে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে আসতে হবে। কোনো প্রাণী কামড় বা আঁচড় দিলে সেখানে ১৫ মিনিট ধরে সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, তাহলে র‌্যাবিসের সেল অনেকটা মরে যাবে।

সর্বশেষ খবর