শিরোনাম
রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জঙ্গলেই নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ

জয়পুরহাট চিনিকল

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জঙ্গলেই নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ

অযত্নে পড়ে আছে জয়পুরহাট চিনিকলের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জয়পুরহাট চিনিকলের বিপুল পরিমাণ লোহা-অ্যালুমিনিয়াম ও  ইস্পাতের অকেজো যন্ত্রাংশ বছরের পর বছর ঝোপজঙ্গলে পড়ে আছে। অযত্ন-অবহেলায় এসব যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, বিশাল জায়গাজুড়ে খোলা আকাশের নিচে চিনিকলের অকেজো যন্ত্রাংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। কিছু যন্ত্রাংশ ঝোপজঙ্গলে ঢেকে গেছে। চিনিকলের কর্মকর্তা-কমর্চারীরা জানান, এসব অকেজো যন্ত্রাংশ রাখার আলাদা জায়গা নেই। চিনিকল চত্বরের গ্যারেজ অংশের ফাঁকা জায়গায় তা রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এর মধ্যে লোহা-অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাতের যন্ত্রাংশ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে জয়পুরহাট চিনিকল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬২-৬৩ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চিনি উৎপাদন শুরু হয়। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে সরকার প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রায়ত্ত ঘোষণা করে। বছরে এর চিনি উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন। এখানে নয় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মৌসুমি শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। নানা কারণে প্রতি বছরই চিনিকলে লোকসান হচ্ছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা রয়েছে। চিনিকল গ্যারেজের চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি ২০০৫ সাল থেকে এ চিনিকলে চাকরি করছি। তখন থেকেই গ্যারেজ এলাকায় যন্ত্রাংশগুলো পড়ে থাকা দেখছি। এর মধ্যে এসএস লোহা, এমএস স্টিল, তামা ও ইস্পাত রয়েছে। এসব যন্ত্রাংশের ওজন সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টন হতে পারে। কখনো নিলামে বিক্রি হতে দেখিনি। চিনিকল চালুর সময়কারও অকেজো যন্ত্রাংশও রয়েছে।’

কৃষি বিভাগের পরিবহন শাখার ওয়েলডার হেলপার শাহিনুজ্জামান বলেন, এসব যন্ত্রাংশ অনেক দিনের হলেও এখনো ভালো রয়েছে।

জয়পুরহাট চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বলেন, চিনিকলের পরিত্যক্ত জিনিসগুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে। আমরা পরিত্যক্ত জিনিসগুলো নিলামে বিক্রির জন্য কর্তৃপক্ষে বলেছি। এসব পরিত্যক্ত জিনিস বিক্রি করে রাজস্ব আসবে। আবার সেই রাজস্ব থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পাওয়ানাদি দেওয়া সম্ভব। জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আখলাছুর রহমান বলেন, লোহার অকেজো যন্ত্রাংশগুলো নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু কাক্সিক্ষত দাম পাওয়া যায়নি। এ কারণে দরপত্র বাতিল করা হয়েছিল। আবারও দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি যন্ত্রাংশের পরিমাপ করছে।

সর্বশেষ খবর