রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বট-পাকুড় গাছে বাদুড়ের নিরাপদ আবাস

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

বট-পাকুড় গাছে বাদুড়ের নিরাপদ আবাস

প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো বট-পাকুড় গাছে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে হাজার হাজার বাদুড়। গাছের নিচ দিয়ে চলাচলের সময় কিচিরমিচির শব্দই জানান দেয় এসব গাছে বাদুড়ের নিরাপদ আবাস। বট-পাকুড় গাছের ডালে ডালে, গাছের পাতার সঙ্গে মিশে আছে এসব বাদুড়। যেন এটা তাদের বসবাসের অভয়ারণ্য। এ অবস্থা দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার  গোন্দলগ্রামের ঠাকুরবাড়ির বট-পাকুড়ের গাছে।

স্থানীয়রা জানায়, গোন্দলগ্রামের ঠাকুরবাড়ির পুকুর পাড়ে বিশাল আকৃতির ১৫০ বছরের পুরনো বট-পাকুড়সহ আশপাশের গাছে হাজার হাজার বাদুড়ের বসবাস। গাছের ডালে ডালে, পাতায় পাতায় সর্বত্র বাদুড়ের নিরাপদ আবাস। এখানে সকালে কিংবা বিকাল-সন্ধ্যায় দেখা যাবে হাজার হাজার বাদুড়। এ চিত্র প্রতিদিনের। ওই সময়ে গাছের আগায় মনে হবে এর পাতা নেই, আছে শুধু বাদুড় আর বাদুড়। বাদুড় দিনে চলাফেরা করতে পারে না। রাতের আঁধারে চলে। তাই সন্ধ্যা হলেই এসব বাদুড় খাবারের সন্ধানে চলে যায় দূর-দূরান্তে। সকাল হওয়ার আগেই এসব গাছে আবার ফিরে আসে বাদুড়। দিনের বেলায় এই এলাকার গাছের ছায়ায় উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে। তবে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তারে মাঝে মধ্যে মরা বাদুড় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। আজব প্রাণীদের মধ্যে বাদুড় একটা। ডানা আছে আকাশে উড়তেও পারে, তবু সে পাখি নয়, স্তন্যপায়ী প্রাণী! মুখটা শিয়ালের মতো, খরগোশের মতো বড় বড় দুটো কান, ছাতার মতো অদ্ভুত দুটি পাখা। বাদুড় মূলত ফলভোজী। পেয়ারা, লিচু, জামরুলের ঠিকানা খুঁজে বের করতে তারা শব্দ তরঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে নাকের গন্ধ শক্তির ওপর নির্ভর করে। ওই গাছের মালিক ফনি ঝাঁ বলেন, ‘বাপ-দাদার আমল থেকেই এ গাছে বাদুড় আছে। জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি। এলাকার মানুষ বাদুড়ের ওপর বিরক্ত হয় না। এদের ক্ষতিও করে না। এ গাছের নিচ দিয়ে চলাচলের সময় অনেকেই বাদুড়ের কিচিরমিচির শব্দ শুনতে পাবে।

সর্বশেষ খবর