সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সবজি চারার আবদুলপুর

মৌসুমেই উৎপাদন ৩০ কোটি পিস

সাইফুল ইসলাম, যশোর

সবজি চারার আবদুলপুর

বিশেষ ব্যবস্থাপনায় যশোর সদর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামে উৎপাদন করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ও জাতের সবজির চারা। এখান থেকে চারা যশোরসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলা, ঢাকা, ফরিদপুর, নরসিংদী, বরিশাল, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার সবজি চাষিরা কিনে নিয়ে যান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখানে এক  মৌসুমেই ৩০ কোটি পিস সবজি চারা উৎপাদন হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা। চারা উৎপাদনের মাধ্যমে এ গ্রামের ৩ শতাধিক চাষি এখন সচ্ছল জীবনযাপন করছেন।যশোর-চৌগাছা সড়ক ধরে কিছুদূর গেলেই আব্দুলপুর গ্রাম। সড়কের দুই পাশে তাকালেই পলিথিনে ঢাকা সারি সারি শত শত সবজির বীজতলা চোখে পড়ে। আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এসব বীজতলায় উৎপাদন হচ্ছে ব্রুকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা।

এ গ্রামের চাষি রফিকুল ইসলাম এবার দেড় বিঘা জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ও বেগুনের চারা উৎপাদন করেছেন। চলতি মৌসুমে তিনি এসব সবজির ১৫ লাখ চারা উৎপাদন করবেন। রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৫ লাখ চারা উৎপাদন করতে তার ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে। চারার দাম কখনো বেশি কখনো কম থাকে। সব মিলিয়ে এসব চারা তিনি ৭ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এক মৌসুমে অর্থাৎ ছয় মাসে পাঁচবার চারা উৎপাদন করা হয়।  সবজির চারা উৎপাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, সবজি চাষিরা যদি চারা উৎপাদন করতে যান, তাতে অনেক সমস্যা হয়। সময় ও শ্রমের ব্যয় তো হয়ই। অনেক সময় চারা গজায় না। চারার মান ভালো হয় না। খরচও পড়ে যায় অনেক। কিন্তু আব্দুলপুর গ্রামে আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত মানের চারা উৎপাদন করা হয়। সবজি চাষিদের চারা উৎপাদনের ঝুঁকি নিতে হয় না। আব্দুলপুরে তারা রেডিমেড চারা পান। কৃষকদের উৎপাদিত চারা যাচাই-বাছাই করে কিনতে পারেন। এক জায়গাতেই নানা ধরনের নানা জাতের সবজির চারা পেয়ে যান তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত তরফদার বলেন, আব্দুলপুর ইতোমধ্যে ‘সবজির হাব’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

সর্বশেষ খবর