সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেতুতে উঠতে বাঁশের সিঁড়ি

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

সেতুতে উঠতে বাঁশের সিঁড়ি

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের কোল ঘেঁষা উপজেলা রৌমারী। জেলা শহর থেকে এ উপজেলায় যেতে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিতে হয়। এ উপজেলায় অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা ও কিছু পাকা হলেও এর অনেক স্থানে ভাঙা। কিছু কাঁচা রাস্তাও কয়েক দফা বন্যায় ভেঙে গেছে। কোমরভাঙ্গী ভিটাপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধের খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সড়ক সেতু। কিন্তু সংযোগ সড়ক এখনো না হওয়ায় সেতুটি কোনো কাজে আসছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ, মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেতুতে উঠতে বাঁশের তৈরি মই ব্যবহার করেও চলাচল করছেন অনেকেই। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। সরেজমিন জানা যায়, রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইনিয়নের  কোমরভাঙ্গী ভিটাপাড়া, কোমরভাঙ্গী জামাইপাড়া, পুরাতনপাড়া, শিবেরডাঙ্গী, পাখিউড়া, কোমরভাঙ্গী উত্তরপাড়াসহ ১০ গ্রামের মানুষ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করেন। এ এলাকার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০২১-২২ অর্থবছরে কোমরভাঙ্গী ভিটাপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধের খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এ সেতুটির কোনোদিকেই সংযোগ নেই। অনেকেই বাধ্য হয়ে বাঁশের মই দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু দিয়ে চলাচল করেন। এ কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এখানকার হাজার হাজার মানুষকে। শিবেরডাঙ্গী এলাকার কৃষক মনির হোসেন বলেন, উৎপাদিত ফসল বাড়িতে নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। যদি মানুষের কাজেই না লাগে, এত টাকা খরচ করে লাভ কী! পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী লিমন মিয়া, আসাদুল্লাহ, সুমাইয়া খাতুন, ফাতেমা খাতুন, আলপনা খাতুন ও মাজেদা খাতুন জানান, আমরা এ সেতুতে উঠে ভয় পাই। তাই বাধ্য হয়ে বাঁশের মই বেয়ে সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে যাই। সব সময় ভয়ে থাকি কখন যে কী হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী সুলতান মাহমুদ ও আবদুল হামিদ বলেন, সংযোগ সড়ক না হওয়ায় কৃষিপণ্য প্রায় চার কিলোমিটার ঘুরে স্থানীয় হাট-বাজারে নিয়ে যেতে হয়। আমাদের এতে বাড়তি টাকাও গুনতে হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামসুদ্দিন জানান, এখনো সেতুর চূড়ান্ত বিল দেওয়া হয়নি। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যে এটি চলাচলের উপযোগী করা হবে।

সর্বশেষ খবর