সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে

দিনাজপুরে হারভেস্টার মেশিনে কাটা হচ্ছে ধান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কৃষিনির্ভর জেলা দিনাজপুরের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজ ও চাষাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের আয়ের প্রধান উৎস হলো কৃষি। যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে সময় ও খরচ বাঁচাতে নির্ভরতা বাড়ছে কৃষি যান্ত্রিকরণে। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বীরগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার বেশিরভাগ কৃষক কৃষিতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছেন। প্রযুক্তির সহায়তায় চাষাবাদ, ফসল রোপণ, মাড়াইসহ যাবতীয় কাজ ঝামেলামুক্তভাবে অল্প সময়ে করছেন। দেখা যায়, বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর, পলাশবাড়ী ভোগনগর, নিজপাড়া, মরিচা, সুজালপুর, শতগ্রামসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে আমন ধান কাটতে এলাকায় শ্রমিক পর্যাপ্ত থাকলেও বেশির ভাগ কৃষক হারভেস্টার মেশিন দিয়ে আমন ধান কাটা-মাড়াই করে ঘরে তুলছেন। এসব এলাকার মানুষের কাছে এখন ধান মাড়াইয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হারভেস্টার মেশিন। যার প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টির শঙ্কায় ধানচাষিরা দ্রুত ইরি-বোরো, আমন ধান কেটে, বস্তাবন্দি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ কোনো ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। অর্থ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। বীরগঞ্জের মোহনপুর ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল  ইসলাম বলেন, এবার আগাম দুই একর আমন ধান চাষ করেছি।

হারভেস্টার মেশিন দিয়ে সব ধান কাটা-মাড়াইয়ে ঘরে তুলছি। কারণ দিনমজুর কৃষি শ্রমিকরা এক একর ধান কেটে দিতে ১০ হাজার টাকা দিতে হয় এবং এ ধান মাড়াই, বস্তাবন্দি, পরিষ্কারসহ অনেক ঝামেলা। কিন্তু হারভেস্টার মেশিনে এক একর ধান মাড়াইয়ে খরচ হচ্ছে ৬ হাজার টাকা এবং বস্তাবন্দিসহ কম সময়ে ঝামেলা ছাড়া ধান মাড়াই করতে পারছি। এতে সময় ও টাকা বেঁচে যাচ্ছে। কৃষি শ্রমিক রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, আমাদের এলাকায় ধান কাটা মেশিন আসায় এবার আগাম আমন ধান কাটতে পারিনি। আমরা একসঙ্গে ২০ জন কাজ করি। সবাই বসে আছি কোনো কাজ পাচ্ছি না, আয় নেই। এতে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন পার করছি। অথচ বছর খানেক আগেও এ সময়ে কাজ করে অনেক টাকা আয় করেছি।

সর্বশেষ খবর