মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রবারণা উৎসবে রঙিন রাখাইন পল্লী

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রবারণা উৎসবে রঙিন রাখাইন পল্লী

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইনদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। প্রতি বছর দুই দিনব্যাপী এ উৎসব পালন করেন রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ। এবার প্রবারণা উপলক্ষে রবিবার রাতে কুয়াকাটার শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে গৌতম বুদ্ধের স্মরণে ১ হাজার মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। পরে আকাশে ওড়ানো হয় অর্ধশতাধিক ফানুস। আতশবাজি ও নাচে-গানে মাতেন রাখনাইন যুবক-যুুবতী। উৎসব দেখতে ভিড় করেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা। গতকাল বিকালে উৎসব শেষ হয়েছে। এর আগে রবিবার সকালে পঞ্চশীল, অষ্টশীল প্রার্থনা, ঘণ্টা বাজানোসহ ধর্মীয় আলোচনা হয়।

এ ছাড়া বিভিন্ন ফল ও পিঠাপুলি বৌদ্ধ ভিক্ষুকে দেন রাখাইন সম্প্রদায়ের বয়স্ক নারী-পুরুষরা। উৎসব ঘিরে কলাপাড়া উপজেলার ২৪টি রাখাইন পল্লীতে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। আলোকসজ্জা করা হয়েছে প্রতিটি বিহার। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে, এই দিনে গৌতম বুদ্ধ ধর্ম প্রচার শুরু করেন। এ কারণে দিনটি তাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ ছাড়া বুদ্ধের স্মরণে আষাঢ়ি পূর্ণিমায় ভিক্ষুদের বর্ষাব্রত শুরু হয়ে কার্তিকের এ পূর্ণিমা শেষ করেন। উৎসব ঘিরে বাড়ি বাড়ি তৈরি হয় বাহারি পিঠা, পুলি, পায়েস। গৃহে অতিথি আপ্যায়নসহ রাখাইনরা এই দিনে পরিষ্কার কিংবা নতুন পোশাকে বিহারে গমন করেন। পালন করা হয় বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধবিহারের ভিক্ষু ও গৌতম বুদ্ধ পাঠাগারের গবেষক উত্তম ভিক্ষু বলেন, আত্মশুদ্ধি এবং অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণেই এ উৎসব। শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার ভিক্ষু উপাধ্যক্ষ ইদ্রবংশ বলেন, প্রতিবছর এ সময় আকাশে ফানুস উড়িয়ে এবং ধর্মীয় নানা আয়োজনে গৌতম বুদ্ধ দেবকে স্মরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপজেলার ২৪টি রাখাইন মন্দিরে প্রবারণা উৎসব পালনের জন্য ৫০০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। রাখাইনরা যাতে উৎসব ভালোভাবে পালন করতে পারে সেজন্য নেওয়া হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা।

 

সর্বশেষ খবর