বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুধ সংগ্রহ বন্ধ, নিঃস্ব খামারিরা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

দুধ সংগ্রহ বন্ধ, নিঃস্ব খামারিরা

দীর্ঘদিন দুধ বিক্রি করতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে খামার

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খামারি, কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন ও ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয় মিল্কভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ ও সরবরাহ কেন্দ্র। পাশাপাশি মাংস উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া হয় মহিষ উন্নয়ন প্রকল্প। এ কারখানায় পাঁচ বছর ধরে দুধ সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। খামারিরা দুধ বিক্রি ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে পড়েন বিপাকে। নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছেন চরাঞ্চলের হাজারো খামারি। এদিকে নীতিমালা অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় বন্ধ হওয়ার পথে সোয়া ১৮ কোটি টাকার মহিষ প্রকল্পটিও। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০২ সালে উপজেলার মিতালী বাজারে ৫.৪৭ একর জমিতে দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন নামে দুগ্ধ শীতলীকরণ ও সরবরাহ কেন্দ্র স্থাপন করে মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ। যার উদ্দেশ্য দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন। বিশেষ এ প্রকল্পটির নাম ছিল রায়পুর মহিষ উন্নয়ন ও কৃত্রিম প্রজনন প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় খামারিদের সেবা দেওয়ার জন্য মিল্কভিটায় পাঁচটি শেড, একটি বীজাগার মেশিন, একটি গবেষণাগার, প্রজনন মেশিন, আধুনিক নিক্তিসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ স্থাপন করা হয়। এ কেন্দ্রের আওতায় ৩৮টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির প্রায় ১ হাজার খামারির কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে দুধ কিনত মিল্কভিটা। এখানে কেনা দুধ ৫ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অত্যাধুনিক শীতলীকরণ মেশিনে প্রক্রিয়া শেষে ঢাকার মিরপুরে মিল্কভিটার মূল কেন্দ্রে পাঠানো হতো। সমবায়ী খামারিদের খামার পরিচালনার জন্য ২০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকারও অধিক ঋণ, পাশাপাশি গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ ও ওষুধ দেওয়া হতো। ২০১৮ সালে রায়পুর মিল্কভিটার দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে দুধ সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। শীতলীকরণের অত্যাধুনিক মেশিনটিও দুই বছর আগে ফেরত নেওয়া হয়। এতে খামারিরা উৎপাদিত দুধ বিক্রি ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে বিপাকে পড়েন।

সর্বশেষ খবর