খুবই ব্যস্ত এলাকা নারায়ণগঞ্জ নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ার চার রাস্তার মোড়। প্রতিদিন লাখো মানুষ হেঁটে চলাচল করে এ মোড় দিয়ে। একটি ফুটওভার ব্রিজের অভাবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার কর্মজীবী লোকজনকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ততম এ সড়ক পার হতে হচ্ছে। এ রাস্তা পার হতে গিয়ে পথচারী হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। ভোগান্তির শিকার নারায়ণগঞ্জের প্রায় ১০ লাখ মানুষ। স্থানীয়রা জানান, শিল্পনগরী খ্যাত নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া। চাষাঢ়া থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড, ঢাকা-ফতুল্লা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক ও নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়ক। এদিকে চাষাঢ়া থেকেই নারায়ণগঞ্জের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কটি শুরু হয়েছে। চাষাঢ়ায় এসে মিলিত হয়েছে চারটি সড়ক। পাশেই নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কারণে চাষাঢ়া একটি ব্যস্ততম স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ চাষাঢ়ায় এসে এ চার রাস্তার মোড় পারাপার হচ্ছে। চাষাঢ়ার আশপাশেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তোলারাম কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দুটি সরকারি কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীও চাষাঢ়ায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে চাষাঢ়ায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। নগরীর বাসিন্দাদের চাষাঢ়া পার হয়েই চানমারির আদালতপাড়ায় যেতে হয়। নারায়ণগঞ্জ কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী মাহমুদুল করিম জানান, চরম ঝুঁকি নিয়ে নারী-শিশু-বৃদ্ধ-অসুস্থসহ অসংখ্য মানুষ এ রাস্তা পার হতে বাধ্য হচ্ছে। চারদিক থেকে গাড়ি এসে এখানে এক এক রাস্তায় চলে যায়। ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের পার হতে হয়। পাশের সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার বলেন, ‘আমাকে এ চার রাস্তার মোড় দিয়েই পার হতে হয় প্রতিদিন। খুব ভয় লাগে। প্রায় সময় দেখি মানুষ দৌড়ে পার হচ্ছে। ফুটওভার ব্রিজ থাকলে না উপকার হতো।’ ফুটওভার ব্রিজ না করায় এ মোড়ে, ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি রাস্তা পার হতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বছরের এক শিশু নিহত হয়। ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর চাষাঢ়ায় সড়ক পার হতে গিয়েও এক শিশু নিহত হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের একটি উন্নয়ন মিটিংয়ে চার রাস্তার মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এ কাজটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন করতে পারে। এটা তাদের এলাকায় পড়েছে।’