সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পিলার উঠিয়েই চার বছর পার

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

পিলার উঠিয়েই চার বছর পার

বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে দুই পারের মানুষ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকার ধামরাইয়ের সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ সাড়ে চার বছরেও শেষ হয়নি। দুই দফায় শুধু পিলার উঠিয়েই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ১০টি গ্রামের মানুষ। সরেজমিন দেখা যায়, ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ও ফুকুটিয়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বয়ে গেছে বংশী নদী। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধামরাইয়ের চাপিল, নওগাঁও, দেপাশাই, আশুলিয়া, কুড়াইল ভাঙা, সোমভাগ, ফুকুটিয়া, শৈলানসহ ১০ গ্রামের মানুষ এ নদীর ওপর দিয়ে বর্ষায় খেয়া নৌকা দিয়ে পার হয়ে স্কুল, কলেজ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপজেলা সদরসহ ঢাকায় যাতায়াত করে থাকেন। ধামরাই উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জিডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর ৯৮ দশমিক ১০ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতু নির্মাণের টেন্ডার হয়। মেসার্স সুরমা অ্যান্ড খোশেদা এন্টারপ্রাইজ (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৭৭৪ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এটি নির্মাণকাজ শুরু করেন। ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এটি নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু নদীর দুই পাড়ে দুটি কলামের আংশিক কাজ করেই ২০২০ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে চলে যায়। এরপর কাজটি সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে তিন দফায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়। ২০২২ সালের শেষের দিকে আবার কাজ শুরু করে। নদীর মাঝখানে আরও দুটি পিলার নির্মাণ শেষ করার পর এ বছরের প্রথম দিকে আবার কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে যায়। সোমভাগ গ্রামের রহিমা বেগম জানান, নদীর উত্তরপাড়ে আমাদের গ্রামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। তাই মেয়েকে নিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় পার হয়ে ফুকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করি। আর সারাক্ষণ ভয়ে থাকি কখন যেন নৌকা ডুবে যায়।

ফুকুটিয়া গ্রামের আবদুর রহমান বলেন, আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ জমিই নদীর উত্তর পাশে। সেতুটি নির্মাণ হলে যাতায়াতের অনেক সুবিধা হতো। উৎপাদিত ফসল সহজেই বাজারে নিয়ে যেতে পারতাম। ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর গ্রাফিক্স টেক্সটাইল কারখানার দুই কর্মী মুনছের আলী ও রুবেল হোসেন জানান, সাড়ে চার বছরেও সেতু নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ধামরাই উপসহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে যেন অতি দ্রুত সেতুর কাজ শুরু করে।

সর্বশেষ খবর