পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের শরৎনগর হাট বসে সড়কের ওপর। এতে যান চলাচলসহ জনসাধারণকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী ও অসুস্থ রোগী বহনকারী গাড়ি চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় এ স্থান পার হতে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানে সপ্তাহে শনি ও বুধবার হাট বসে। ভাঙ্গুড়া উপজেলাসহ আশপাশের এলাকার কৃষকরা উৎপাদিত ধান, পাট, গম, সরিষা, শাকসবজিসহ নানা ধরনের কৃষিপণ্য এ হাটে বিক্রি করতে আসেন। প্রতি হাটে এখানে হাজার-হাজার মণ কৃষিপণ্য বেচাকেনা হয়। এখান থেকে প্রতি বছর সরকারের আয় হয় মোটা অঙ্কের রাজস্ব। কিন্তু হাট বসার জন্য নেই নির্দিষ্ট  কোনো জায়গা। ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকার প্রধান রাস্তাটি দখল করে দীর্ঘদিন ধরে বসছে হাট। ভাঙ্গুড়া জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আবুল হোসেন জানান, হাটের কারণে আমাদের অনেক আগেই বাসা থেকে বের হয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়। সড়কে না বসিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় হাট হলে ভালো হতো পথচারী ও আমাদের। শরৎনগর ফাজিল মাদরাসার ছাত্র আবুল কালাম আজাদ জানান, ভিড়ের মধ্য দিয়ে মাদরাসায় যেতে তাদের সমস্যা হয়। শরৎনগরের বাসিন্দা  গোলাম মওলা বলেন, সপ্তাহে দুই হাটের দিনে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। হাটের একটি নির্দিষ্ট জায়গা থাকলে এই দুর্ভোগ লাঘব হতো। তবে ওই হাটের ফুটপাত দখলকারী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের দাবি, দেশের বিভিন্ন স্থানেই রাস্তার ওপর এভাবে হাট বসে। রাস্তার ওপর হাট বসলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা ভালো হয়। ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, হাট বসানোর মতো কোনো জায়গা না থাকায় এ ব্যাপারে তিনি কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। আশপাশে হাট বসানোর সুবিধামতো কোনো জায়গা না পাওয়ায় এর সুরাহা করা সম্ভব হচ্ছে না।