মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কেঁচো সারে ভাগ্য বদল

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

কেঁচো সারে ভাগ্য বদল

ভোলার চরফ্যাশনের খায়রুল ইসলাম বছর চার আগে বাড়িতে কয়েকটি গরু নিয়ে গড়ে তোলেন ছোট খামার। পরে আয় বাড়ানোর চেষ্টায় বেসরকারি পরিবার উন্নয়ন সংস্থার (এফডিএ) পরামর্শে শুরু করেন পরিবেশবান্ধব কেঁচো সার উৎপাদন। পিরোজপুরে গিয়ে তিনি প্রশিক্ষণ নেন। সংস্থাটি চার মাস আগে তার বাড়ির আঙিনায় কেঁচো সার উৎপাদনের প্ল্যান্ট দিয়েছে। নিজস্ব খামারের গরুর গোবর দিয়ে কেঁচোর মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে কেঁচো সার উৎপাদন করেন তিনি। এতে উৎপাদনে ব্যয় অনেক কম হয়। প্রথমদিকে কম হলেও এখন তার প্ল্যান্ট থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ মণ কেঁচো সার উৎপাদন হয়। প্রতি মণ সার ৭০০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় মাসে ৩৫ হাজার টাকা আয় হয় তার। এখন প্রতি মাসে ১০০ মণ কেঁচো সার উৎপাদনের টার্গেট তার। রাসায়নিক মুক্ত হওয়ায় খায়রুলের গ্রামে কৃষকদের মাঝে এ সারের চাহিদা ব্যাপক। খায়রুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে সার উৎপাদনের ক্ষেত্র হওয়ায় এ কাজে আমার স্ত্রী-সন্তানরা সহযোগিতা করে। আমাকে বাইরের শ্রমিকদের জন্য ব্যয় বহন করতে হয় না। তিনি জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি সন্তানরাও এ কাজে সহযোগিতা করে। প্রাকৃতিকভাবে ও রাসায়নিক মুক্ত কেঁচো সার উৎপাদন করতে গোবর কাজে লাগে। প্রথমদিকে এলাকায় কৃষকদের কিছুটা অনাগ্রহ থাকলেও এর কার্যকারিতা দেখে এখন এ সারের চাহিদা বেড়েছে। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর