সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাওরে অবাধে পাখি শিকার

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

হাওরে অবাধে পাখি শিকার

মৌলভীবাজারের হাওরে অবাধে শীতের পাখি শিকার ও বিক্রি হচ্ছে। শীত মৌসুমে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাওরে আসে পাখি। শীতের শেষে আবার চলে যায়। এ বছর এখনো শীত পুরোপুরি শুরু না হলেও হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরে পাখির আনাগোনা দেখা গেছে। এ সুযোগে শিকারিরা জাল ও বিষটোপ দিয়ে পাখি ধরায় মেতেছেন। প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে শিকার করা পাখি তারা বিক্রি করছে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে। কেউ কেউ আবার প্রকাশ্যে বাজারে এনে পাখি বিক্রি করছে। পাখির মধ্যে রয়েছে বক, সড়ালি হাঁস ও বালি হাঁস।

কাউয়াদীঘি হাওরপারের কাশিমপুর, বড়লেখার আজিমগঞ্জ, জুড়ীর নয়াগ্রাম বাজারে এবং শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের বরুনা গ্রাম ও লালবাগ এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিকারিরা পাখি বিক্রি করছেন। বাজারেই পাখি জবাই করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন কোনো কোনো ক্রেতা। গত শুক্রবার কাউয়াদীঘি হাওরপারের চানপুর এলাকায় দুই ব্যক্তিকে হাতে খয়েরি-ধূসর রঙের একটি বড় আকারের পাখি নিয়ে আসতে দেখা যায়। তারা পাখিটির দাম চান ১ হাজার ২০০ টাকা। পাখিটি তাদের মাছের জালে আটকা পড়েছিল বলে জানান। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, এখনো ভালোভাবে পাখি আসা শুরু করেনি। তবে শিকারিরা তৎপর হয়ে উঠেছে। পরিবেশকর্মী খোকন বলেন, পাখি শিকার করা হলেও প্রশাসনের অভিযান এখনো শুরু হয়নি। অতীতে মৌসুমের শুরুতেই শিকার বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হতো। এবারও যত দ্রুত সম্ভব অভিযান শুরু করা দরকার।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষক সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পাখি শিকার করে বাজারে বিক্রি করার বিষয়টি নজরে এসেছে। আমরা ওই সব স্থান চিহ্নিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। একই সঙ্গে এলাকার মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর