মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুর্যোগ ঝুঁকিতে উপকূলবাসী

প্রতিদিন ডেস্ক

দুর্যোগ ঝুঁকিতে উপকূলবাসী

বাগেরহাটের শরণখোলায় বেড়িবাঁধে ভাঙন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সুপার সাইক্লোন সিডরের ১৬ বছর পূর্ণ হচ্ছে কাল। ২০০৭ সালের এই দিনে (১৫ নভেম্বর) সিডরে লন্ডভন্ড হয় উপকূল এলাকা। ঘটে অসংখ্য প্রাণহানি। বেড়িবাঁধ ও রাস্তাঘাট ধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যোগাযোগব্যবস্থা। আজও সিডরের ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূল। দীর্ঘদিনেও সংস্কার হয়নি সব বেড়িবাঁধ। এখনো দুর্যোগ ঝুঁকিতে দিন কাটছে উপকূলবাসীর। টেকসই বাঁধ ও পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্রের দাবি জানিয়েছেন তারা। প্রতিনিধিদের খবর- বাগেরহাট : সিডরের পর ২০১৬ সালে সুন্দরবন-সংলগ্ন শরণখোলার মানুষের সুরক্ষায় সরকার প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করলেও এখনো তা শেষ হয়নি। বলেশ্বর নদের পাড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই পাঁচটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী শাসন না করে বাঁধ নির্মাণ করায় ভাঙন দেখা দিচ্ছে- দাবি এলাকাবাসীর। বলেশ্বর নদ শাসন বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন জানান, গত ৫০ বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ৬০টি ঘূর্ণিঝড়ের ৩৬টিই উপকূলে আঘাত হানে। ব্যাপক প্রাণহানিসহ লন্ডভন্ড করেছে শরণখোলাসহ উপকূলীয় জনপদ। নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই বেড়িবাঁধে নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসী ভয়ে আছেন। আমরা চাই নদী শাসন করে নির্মাণ করা হোক টেকসই বাঁধ। তবেই ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পাবেন শরণখোলার মানুষ। রাঙ্গাবালী : পটুয়াখালীতে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের অধিকাংশ এখনো অরক্ষিত। ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সিডরের তান্ডবে বিধ্বস্ত বাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়নি। জনসংখ্যার বিপরীতে গড়ে ওঠেনি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। দুর্যোগ সচেতনতা তৈরি হয়নি সাধারণ মানুষের মধ্যে। ফলে রাঙ্গাবালীসহ পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার মানুষ রয়েছে দুর্যোগ ঝুঁকিতে। প্রতি বছর উপকূলে আঘাত হানা ছোট-বড় ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি কমাতে বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোতে আশ্রয়ণ তৈরি করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী (রাঙ্গাবালী-কলাপাড়া) খালিদ বিন ওয়ালিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছি। এখনো অনেক স্থানে সমস্যা রয়েছে। স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিববুর রহমান বলেন, রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়ায় এখনো বিচ্ছিন্ন কিছু দ্বীপ রয়েছে যেগুলোতে সাইক্লোন শেল্টার নেই। এসব জায়গায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

সর্বশেষ খবর