বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ধলেশ্বরীতে সেতুর অভাবে ভোগান্তি

‘খেয়া পার হতে না পারায় বহু দিন কলেজ করতে পারিনি’

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

ধলেশ্বরীতে সেতুর অভাবে ভোগান্তি

মানিকগঞ্জ : রাজৈরে ধলেশ্বরী নদীতে সেতু না থাকায় নৌকাই একমাত্র ভরসা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের রাজৈর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে দীর্ঘদিনেও একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। ধলেশ্বরী নদীকে কেন্দ্র করে পূর্বপাড়ে গড়ে ওঠে গোপালপুর বাজার। পাশেই রয়েছে দরগ্রাম সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দুই পারেই রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। নদীতে একটি সেতু নির্মাণ হলে রাজধানী থেকে মানিকগঞ্জ হয়ে দৌলতপুর, শিবালয়, নাগরপুর, টাংগাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে বিকল্প যোগাযোগের পথ হবে, দাবি স্থানীয়দের। প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে রাত পর্যন্ত নদী পারাপারে দুই পারের লোকজনের একমাত্র ভরসা নৌকা। সরেজমিন দেখা যায়, প্রচুর লোক খেয়া পার হচ্ছে। খেয়াপারের যাত্রীদের ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় খোলা আকাশের নিচে। জয়নাল, আলামিন রাজ্জাকসহ অনেকেই বলেন, আমাদের বাড়ি নদীর পশ্চিম পাড়। আমরা কৃষি কাজ করে সংসার চালাই। প্রতিদিন নদী পার হয়ে বাজারে যেতে হয়। এ নদীটিই আমাদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। নদীর কারণেই আমরা কৃষি পণ্যের সঠিক দাম পাই না। ঠিক সময়ে খেয়া পার না হতে পারলে দুধ বিক্রি করা যায় না। কলেজ শিক্ষার্থী আসমা আক্তার পপি জানান, ‘খেয়া পার হতে না পারায় বহু দিন কলেজ করতে পারিনি।’ তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও সেতুর কোনো খবর নেই। খেয়া পারের সঙ্গে বাড়তি ভোগান্তি যোগ হয়েছে সংযোগ সড়ক। সব সময় কাঁদা পানিতে নোংরা হয়ে থাকে। বৃষ্টি নামলে ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ ফটো জানান, এ পথে প্রচুর লোক চলাচল করেন। নদীতে সেতুর অভাবে দুই পারের লোক চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এ বছরই এখানে ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার হবে। ৩৫০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এলজিইডির সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল করিম জানান, নদীতে সেতু নির্মাণের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ অর্থবছরেই সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর