শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাতির ভয়ে আধা পাকা ধান কাটছেন কৃষকরা

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

‘কী করমু, ধান পাকা শুরু করছে আর আত্তির (হাতি) অত্যাচার বাইড়া গেছে। রাইত দিন পাহারা দিয়া আর কত রাখমু। আত্তিরা খেতে নামলে সব ধান খাইয়া সাবাড় কইরা ফেলব। আত্তির ডরে কলাপাকা (আধাপাকা) ধান কাটতাছি।’ কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাটা ফেকামারী গ্রামের শিলা সাংমা। তার মতো ওই এলাকার অর্ধশতাধিক কৃষক বন্যহাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় আধা পাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন। হাতি প্রতিরোধে তারা খেতের পাশে টং ঘর করে দিন রাত পাহারা দিচ্ছেন। এলাকাবাসী জানান, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা ফেকামারী গ্রামের সীমান্তঘেঁষা ১০০-১৫০ একর জমিতে অর্ধশতাধিক কৃষক আমন আবাদ করেছেন। ওই এলাকায় ধান পাকতে আরও এক-দুই সপ্তাহ লাগবে। জমির পূর্ব দিকে তালতলা টিলায় পাহাড়ি জঙ্গলে কয়েকদিন ধরে ৪০-৪৫টি বন্য হাতি অবস্থান করছে। সুযোগ পেলেই ধান খেতে নেমে আসে হাতির দল।

তখন এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে তাড়িয়ে দেন। এভাবেই চলছে কৃষকদের ধান রক্ষার লড়াই। গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় দেখা যায়, কৃষকরা ধান কাটছেন। ঠেলাগাড়িতে ধান বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। পানিহাটা গ্রামের মনিকা সাংমা বলেন, ২৫ কাঠা জমি বর্গা নিয়ে ধান লাগাইছি। আত্তির লাইগা কাচা ধানই কাটতাছি। অহন না কাটলে আত্তি সব ধান খাইয়া শেষ করলে পরে কিছুই পামু না। বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা সাব্বির জাহাঙ্গীর বিন ওয়ালি বলেন, কয়েকদিন ধরে তালতলা জঙ্গলে ৪০-৪৫টি বন্যহাতি অবস্থান করছে। সমতলে হাতি প্রতিরোধে বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর