শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সড়ক সংস্কারে ধীরগতি

বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ♦ চলাচলে দুর্ভোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি

সড়ক সংস্কারে ধীরগতি

সদর উপজেলার হাঁপানিয়া বাজার-বদলগাছী সড়ক

নওগাঁয় সড়ক সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারী ও এলাকাবাসী। চুক্তির মেয়াদ দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না থাকায় কাজ শেষ হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

নওগাঁ এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে সদর উপজেলার হাঁপানিয়া বাজার থেকে বদলগাছীর প্রধানকুন্ডি পর্যন্ত ৭ দশমিক ৩৭৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার শুরু হয়। চুক্তিমূল্য ধরা হয় ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারিতে। কাজ শেষ হওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে এক বছর আট মাস। সঠিক নির্মাণ পদ্ধতিতে কাজ করতে ঠিকাদারকে পরপর সাতটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সবশেষ চিঠি পাঠানো হয় গত ২৫ সেপ্টেম্বর। কাজ পড়ে থাকায় দেখা দিয়েছে জনদুর্ভোগ। দ্রুত এর প্রতিকার চান স্থানীয়রা। চকআতিতা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, এ রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়ায় করতে হয়। বিশেষ করে ট্রাক ও ট্রাক্টর যখন যায় তখন রাস্তার ধুলায় আমাদের জামা-কাপড় নোংরা হয়। ধুলার কারণে হাঁচি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। শ্বাসকষ্টে ভুগছেন কেউ কেউ। কসবা গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, এ রাস্তা দিয়ে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতে হয়। দীর্ঘদিন কাজ পড়ে থাকায় অনেক স্থানে খোয়া উঠে গর্ত হয়েছে। ঝাঁকুনিতে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। রোগীদের জন্য সমস্যা আরও বেশি।

স্থানীয় বর্ষাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী বলেন, রাস্তার কাজ কবে শেষ হবে আমরা কেউ জানি না। রাস্তাটি এভাবে ফেলে রাখায় ভোগান্তি বাড়ছে। বর্ষাইল ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার কাজ ঠিকমতো না করে দীর্ঘদিন ফেলে রেখেছে। পুরাতন ইট ভেঙে রাস্তায় দেওয়া হয়েছে। কাজের মান ভালো না। ঠিকাদার খলিলুর রহমান বলেন, ভালোমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাজের একটি টাকাও আমাকে দেওয়া হয়নি। টাকা না পেলে কাজ করব কী দিয়ে। নওগাঁ সদর উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তা ও ঠিকাদার নিয়ে বিড়ম্বনায় আছি। ঠিকাদার সঠিক পদ্ধতিতে কাজ না করে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে নিজের মতো করতে চাইছেন। কাজটি শেষ করার জন্য তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি আমলে নিচ্ছেন না। প্রকৌশলী আরও বলেন, ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে চান। নিয়মবহির্ভূতভাবে বেড তৈরি, এজিং, হার্ডবেড তৈরি ও ডব্লিউবিএম কাজ করেছেন। অনিয়ম করায় আমরা তাকে বাধা দেই। এতে তিনি আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ। আমার অফিস স্টাফদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর