রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিস্তীর্ণ মাঠে শীতের সবজি

ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক, ভালো দাম পেয়ে খুশি

সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা

বিস্তীর্ণ মাঠে শীতের সবজি

গাইবান্ধায় আগাম শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে বিস্তীর্ণ খেত। ভালো দাম পাওয়ায় বিভিন্ন জাতের সবজির পরিচর্চা ও তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে মুলা, কপি, বরবটিসহ কিছু সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি বছর ৯ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ১৬ নভেম্বরের তথ্য অনুযায়ী ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ হয়েছে। আবাদ এখনো চলমান। আগাম সবজির বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।  গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের কালিকাডোবা, পারগয়ড়া, অনন্তপুর, কামারদহ ইউনিয়নের বার্না চন্দ্র শেখর, মাস্তা, বাইচপুর, ফাঁসিতলা, ঘোড়ামাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ সবজি খেতে কর্মব্যস্ত কৃষকরা। তারা সবজি তোলার পাশাপাশি বেগুন, ঢেঁড়শ, লালশাক, পুঁইশাক খেতে নিড়ানি দিচ্ছেন। আবার কেউ বেগুন ও ঢেঁড়শ গাছে লাকড়ি পুঁতে দিচ্ছেন। মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ বেগুন, মুলা, কপি, ঢেঁড়শ। প্রতিদিন বেড়ে উঠছে সবজি চারা। কোনো কোনো বেগুন বা ঢেঁড়শ গাছে ফুল এসেছে। বাজারে মুলা, ঢেঁড়শ, বেগুন, লালশাক বিক্রি শুরু করেছেন কেউ কেউ। চাহিদা থাকায় ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি। বার্নাচন্দ্রশেখর গ্রামের কৃষক জায়েদ আলী ৩০ শতাংশ জমিতে মুলা ও ৩০ শতাংশ জমিতে লালশাক চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি বাজারে মুলা বিক্রি শুরু করেছেন। প্রথম দিকে প্রতি মণ মুলা ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এখন ৭০০-৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন। পারগয়ড়া গ্রামের কৃষক বাবলু মিয়া জানান, তিনি ৪০ শতাংশের একটি উঁচু ভিটায় পটোল আবাদ করেছেন। প্রতি মণ পটোল ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি করছেন। একই এলাকার খোরশেদ মিয়া ২৫ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। প্রতি মণ ফুলকপি তিনি ১৩০০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করেছেন। উপজেলা সদরের গোলাপবাগসহ স্থানীয় হাটেবাজারে ভালো দামে ফুলকপি ও পটোল বিক্রি করে খুশি তারা। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, কৃষিবিভাগ কৃষকদের উৎসাহ এবং সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি কৃষি প্রণোদনার আওতায় প্রায় ১১৫০ জন কৃষকের মধ্যে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি ১৪ ধরনের বিভিন্ন সবজি বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। এসব বীজে সবজি চাষ করে কৃষকরা পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে লাভবান হতে শুরু করেছেন। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, জেলায় দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন। সবজি চাষে কৃষকদের সব সময় কৃষিবিভাগ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর