মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হবে কর্মসংস্থান, কমবে যাত্রী হয়রানি

আধুনিকায়ন হচ্ছে বুড়িমারী স্থলবন্দর

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

হবে কর্মসংস্থান, কমবে যাত্রী হয়রানি

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর আধুনিকায়ন হচ্ছে। এতে পাসপোর্টধারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে, বলছেন বন্দরসংশ্লিষ্টরা। ‘বুড়িমারী স্থলবন্দর সম্প্রসারণ ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ’ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে এতে আরও ৬০ একর ৮৯ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

বুড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এ বন্দরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানে ১১ একর ১৫ শতাংশ জমির ওপর চলছে এর কার্যক্রম। বন্দরে একটি প্রশাসনিক ভবন, তিনটি ডিজিটাল ওয়েব্রিজ স্কেল, একটি ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ভবন, একটি শ্রমিক বিশ্রামাগার, দুটি ৪০০ টন ধারণ ক্ষমতার শেড, একটি ১ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার শেড, দুটি ট্রান্সশিপমেন্ট শেড ও দুটি ওপেন ইয়ার্ড রয়েছে। বুড়িমারী কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আবদুল আলীম বলেন, এ স্থলবন্দরে পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের যে ভলিয়ম সে তুলনায় সেবার মান নিম্নমুখী। এজন্য সরকার ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে এখানকার সেবার মান নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে সব পক্ষের জন্য সুবিধা হবে। জায়গা সংকটে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না। অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে লাভবান হওয়া যাবে, মনে করছেন আমদানি ও রপ্তানিকারকরা। বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তারেক ইসলাম বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দর অপারেটিং কার্যক্রম পরিচালনায় জায়গা সংকট রয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সময় বন্দরটি আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।’ নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ স্থলবন্দর আধুনিকায়নের কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এটি বিশ্বমানের স্থলবন্দরে পরিণত করা হবে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থা আমূল বদলে যাবে। এজন্য সবাইকে সহযোগিতার হাত এগিয়ে দিতে হবে। বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, বুড়িমারী-চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি মাসে গড়ে ১২-১৩ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল করে। এ ছাড়া এই বন্দর ব্যবহার করে প্রতি মাসে গড়ে ৯-১০ হাজার বিদেশি ট্রাক ও ১৫০০-২০০০ দেশি ট্রাক পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। এজন্য ৬০ একর ৮৯ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আধুনিক পদ্ধতিতে বন্দর পরিচালন সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমেও সুবিধা বাড়বে। এতে যেমন সরকারি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, তেমনি সব ধরনের চোরাচালান-অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর