শিরোনাম
বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

খানাখন্দে চলার অনুপযোগী সড়ক

পাবনা প্রতিনিধি

খানাখন্দে চলার অনুপযোগী সড়ক

পাবনার একদন্ত-হাদল-ভেড়ামারা অঞ্চলিক সড়কে খানাখন্দ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দুর্ভোগের অপর নাম পাবনার একদন্ত-হাদল-ভেড়ামারা অঞ্চলিক সড়ক। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এর বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। অসংখ্য গর্ত আর ভাঙাচোরা এ সড়কে জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে চার উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে। এ রাস্তায় চলাচল করতে না পেরে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার ঘুরে জেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে অনেকেরই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে একদন্ত হয়ে ধানুয়াঘাটা, হাদল হয়ে সড়কটি সংযুক্ত হয়েছে ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভেড়ামারা বাজারে। জেলার আটঘরিয়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার অর্ধশত গ্রামের কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। একদন্ত ইউনিয়নের চান্দাই গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থদের পাবনা বা আটঘরিয়া হাসপাতালে নিতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। হাদল ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে অসংখ্য ভাঙাচোরা ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে চার উপজেলার শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষকে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এসব মানুষকে। কৃষকরা ফসলাদি পরিবহন করতে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ফরিদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাপ হোসেন বলেন, জেলা সদরে বিভিন্ন সময়ে মিটিং বা কাজের জন্য আমাদের কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে ডেমরা-আতাইকুলা সড়ক হয়ে যেতে হয়। এতে জ্বালানি-ভোগান্তি দুটোই বেশি হয়। বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর দেওয়া জরুরি। ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাকি বিল্লাহ বলেন, রাস্তাটি ভাঙাচোরা থাকায় আমাদের খুবই কষ্ট হয়। পাবনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান বলেন, ফান্ড না থাকায় রাস্তাটি সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রকল্প সাবমিট করেছি। ফান্ড পাওয়া সাপেক্ষে এ রাস্তার কাজ করা হবে।

সর্বশেষ খবর