সিংড়ার চলনবিলে ফাঁদ পেতে পাখি শিকারের দায়ে তিন শিকারিকে ৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান গতকাল উপজেলার হুলহুলিয়া ও সারদানগর সড়কের বড়িতলা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ রায় দেন। এ সময় উদ্ধার করা ১৫টি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি অবমুক্ত করা হয়। প্রায় ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জালের ফাঁদ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে পরিবেশবাদী সংগঠন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির দুই নেতার নেতৃত্বে দুটি দল সকালে ট্রিম সারদানগর, হুলহুলিয়া ও মুষ্ঠিগড় বিলে অভিযান চালায়। তারা সাত পাখি শিকারিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করেন। এর মধ্যে মুষ্ঠিগড় গ্রামের পেশাদার পাখি শিকারি আব্দুর রাজ্জাক (৬৫), হুলহুলিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান লতু (৫৪) ও মজু সরদারের (৭৫) ৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। একই গ্রামের পাখি শিকারি সজিব, তুহিন এবং দুই কিশোরকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির নেতা সাইফুল ইসলাম জানান, বর্ষার শেষ ভাগে এবং শীতের শুরুতে অল্প পানিতে মাছের সঙ্গে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে চলনবিল। এ সময়ে এক শ্রেণির পাখি শিকারির তৎপরতা দেখা যায়। সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান বলেন, পাখি ও প্রকৃতি বাঁচাতে বিলের দুর্গম এলাকায় স্থানীয় পরিবেশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।