রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মিশ্র ফসল চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

অল্প সময়ে কম খরচে বাড়তি আয় লক্ষ্য

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

মিশ্র ফসল চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

দিনাজপুরে মিশ্র ফসল চাষ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দিনাজপুরে একই জমিতে একই সঙ্গে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, কলাসহ বিভিন্ন ফসল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। অল্প সময়ে কম খরচে বাড়তি আয়ের আশায় তারা এ ধরনের ফসল চাষ করছেন। এতে তারা বেশ লাভবানও হচ্ছেন। দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কয়েক ইউনিয়নে এখন অনেক কৃষককেই এ ধরনের ফসল চাষ করতে দেখা গেছে।

কৃষি প্রধান বীরগঞ্জে সারা বছর জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদে চলে বেশির ভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা। উপজেলার নিজপাড়া, মোহনপুর, সাতোর, মরিচা, শতগ্রাম, ভোগনগর, সুজালপুর ইউনিয়নের কৃষকেরা তাদের পতিত জমিতে একসঙ্গে একাধিক ফসল চাষ করে বাড়তি আয় করতে পারছেন। এ অঞ্চলে একসঙ্গে একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করছেন কলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আগাম জাতের আলু, মরিচসহ নানান ফসল।

সরজমিনে দেখা যায়, বীরগঞ্জের ভোগনগর ইউপির চাউলিয়া গ্রামের কৃষক মোটা সাহা ৪০ শতক জমিতে প্রায় তিন শ কলা গাছ রোপণ করেছেন। পাশাপাশি ওই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচও রোপণ করেছেন। এ ব্যাপারে কৃষক মোটা সাহা জানান, সাধারণত কলা চাষে এক বছর সময় লাগে, তাই জমিতে কলা গাছ রোপণের পর ফাঁকা জায়গায় সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি ও মরিচ চারা রোপণ করা হয়েছে। এ ফসলগুলো তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যাবে। অন্যদিকে কলা গাছ ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। এ বছর আশা করছি দাম ভালো থাকলে আমার এ ফসলে খেত হতে প্রায় ৭০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারব, যা আমার বাড়তি আয়। এ থেকেই কলা খেতের যাবতীয় খরচ বহন করা যাবে। বছরের শেষে কলা হতে অধিক মুনাফা অর্জন হবে।

মোহনপুর ইউপির কৃষক সম্রাট আকবর এ বছর ১০০ শতক জমিতে কলা চাষ করেছেন। তিনি জমিতে ফাঁকা জায়গায় বাঁধাকপি, ফুলকপি ও আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন। ২০-২৫ দিন পর তার এসব ফসল বিক্রি শুরু করা যাবে। তিনি আশা করছেন, তার এ জমি থেকে এ বছর ৮০ হাজার টাকার আলু ও ১ লাখ টাকার বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হবে এবং কলা হতে ২ লাখ টাকা আয় করবেন।

বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বীরগঞ্জ উপজেলায় কৃষি জমির পরিমাণ ৩২ হাজার ৮৯৬ হেক্টর। এর মধ্যে এ বছর ৪৬০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ২০০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি চাষ হয়েছে। বিশেষ করে যারা কলা চাষ করছে তাদের খেতে বিভিন্ন ফসলের চাষ লক্ষ্য করা গেছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের রোগবালাইয়ে যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানে কৃষি অফিস মাঠপর্যায়ে কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর