মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলুবীজ সংগ্রহ নিয়ে উদ্বিগ্ন উত্তরের ডিলাররা

হরতাল অবরোধের প্রভাব

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে নির্ধারিত সময়ে আলুবীজ সংগ্রহ ও বিক্রি নিয়ে উদ্বিগ্ন উত্তরের আট জেলার ডিলাররা। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ২০২৩-২৪ বিতরণবর্ষে ডিলারদের জন্য বীজ বরাদ্দের বুকিংয়ের শেষ দিন ছিল ৫ নভেম্বর। নির্ধারিত সময়ে এই আট জেলার ৮৫৬ ডিলারের মধ্যে বুকিং দিয়েছেন ৭৪৯ জন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কোল্ডস্টোরেজ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে তাদের। হরতাল-অবরোধ চলতে থাকলে পরিবহন সংকটে নির্ধারিত সময়ে বীজ সংগ্রহ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ডিলারদের মাঝে। আবার নভেম্বরের মধ্যে কৃষকের কাছে বীজ বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের ঝুঁকিও রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে মানসম্পন্ন বীজ না পেলে আলু আবাদে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে কৃষকদেরও। বিএডিসি রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালকের (বীজ বিপণন) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর বিভাগে বীজ আলু বরাদ্দ রয়েছে ৩ হাজার ১৪৫ দশমিক ৯১৫ টন। এর মধ্যে নিবন্ধিত ডিলারদের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ৪৮৪ টন। কৃষক, বীজ আলু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিক্রির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৬৬১ দশমিক ৯১৫ টন। এর মধ্যে রংপুর জেলায় বুকিং দিয়েছেন ১৯২ ডিলার। নীলফামারীতে ১৪১, লালমনিরহাটে ১১৭, গাইবান্ধায় ১৩৭ ও কুড়িগ্রামে বুকিং দিয়েছেন ১৬২ জন। রংপুর জেলার প্রত্যেক ডিলারের জন্য বরাদ্দ ৩ হাজার ২০০ কেজি। বাকি চার জেলার ডিলারদের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ৮০০ কেজি। ২০২২-২৩ বিতরণবর্ষে আলুর বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৯৬৯ টন এবং প্রতি কেজি বীজ আলু ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে বর্তমানের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করেছে বিএডিসি। এ অঞ্চলের ডিলারদের লালমনিরহাট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রংপুরসহ ১৮টি কোল্ডস্টোরেজ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। তবে প্রায় ৬০০ টন বীজ ডিলারদের নদীর ওপারে অর্থাৎ টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, মুন্সীগঞ্জসহ দূরের জেলার কোল্ডস্টোরেজ থেকে বাধ্যতামূলক সংগ্রহ করতে হবে। বিএডিসির ডিলার মো. ফিরোজ আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলুর বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় স্বাভাবিকভাবে চলতি মৌসুমে আলুবীজের চাহিদা বেশি থাকবে। আমিও আশায় ছিলাম বীজ বিক্রি করে লাভবান হব। বিএডিসি (বীজ বিপণন) রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালক মো. মাসুদ সুলতান বলেন, হরতাল ও অবরোধের কারণে ডিলাররা নদীর ওপারে, বিশেষ করে দূরের কোল্ডস্টোরেজ থেকে বীজ আলু পরিবহনে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। লালমনিরহাটের ডিসি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন,  শুধু আলুবীজ নয়, যে কোনো ব্যবসায়ী যদি নিরাপত্তাসহ কোনো সহযোগিতা চান, আমরা সাধ্যমতো সহায়তা করতে প্রস্তুত। এমনকি বাইরের জেলায় যদি সহায়তা প্রয়োজন হয়, আমরা তাও দিতে প্রস্তুত। জেলায় পর্যাপ্ত বীজ আলু মজুদ আছে।

সর্বশেষ খবর