বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পানির নিচে ৫ হাজার হেক্টর জমি

অবৈধ সোঁতি জালে মাছ শিকার, পানির গতিপথে বাধা

নাটোর প্রতিনিধি

পানির নিচে ৫ হাজার হেক্টর জমি

নাটোরের হালতিবিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ মরা আত্রাই নদীতে অবৈধভাবে সোঁতি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে এ নদীতে পানির গতিপথে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে শস্যভাণ্ডার খ্যাত হালতিবিলের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর কৃষিজমি এখন পানির নিচে রয়ে গেছে। ফলে চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদসহ বিভিন্ন রবিশস্য উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন এখানকার কয়েক হাজার কৃষক। মৌসুম শুরু হলেও এসব জমি থেকে পানি না নামায় কৃষকরা একদিকে সময়মতো জমি প্রস্তুত করতে পারছেন না। অন্যদিকে সরিষা, কন্দ-পিঁয়াজ ভুট্টাসহ বিভিন্ন রবি ফসল চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। এতে এ এলাকায় ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব সোঁতি জাল অপসারণ করে ফসল উৎপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্থানীয় দুই শতাধিক কৃষকের স্বাক্ষর করা একটি আবেদন সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্র, কৃষক ও লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, জেলার শস্যভাণ্ডার খ্যাত হালতিবিলে কয়েক বছর ধরে সরকারের সার, বীজ ও উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার সুযোগে এবং কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে প্রতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদসহ হরেক রকম রবিশস্য উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি বোরোর বীজতলা প্রস্তুত করতেও বিলম্ব হচ্ছে। হালতিবিল-সংলগ্ন মরা আত্রাই নদীতে সিংড়া উপজেলা অঞ্চলে ত্রিমোহনী এলাকা থেকে হাপানিয়া, সোনাইডাঙ্গা ও বোক্তারপুর পর্যন্ত ১০ থেকে ১২টি স্থানে অবৈধভাবে সোঁতি জাল বসানো হয়েছে। হালতিবিলের খোলাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক কাউছার রহমান, শফির উদ্দিন মণ্ডল, হালতি গ্রামের আফজাল হোসেন, একডালা গ্রামের জামাল হোসেনসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সময়মতো হালতিবিলের পানি অপসারণ না হলে তাদের বীজতলা প্রস্তুত করতে বিলম্ব হবে এবং বোরো চাষাবাদও এক মাস পিছিয়ে যাবে। গত দুই বছর তারা সময়মতো বীজতলা করে বোরোর চারা রোপণ করেছেন।

নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার ফৌজিয়া ফেরদৌস জানান, হালতিবিলের পানি দ্রুত নিষ্কাশন করা জরুরি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. আবু নাছের ভূঞা জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর