সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
জয়পুরহাট মা ও শিশু হাসপাতাল

জরাজীর্ণ ভবনে স্বাস্থ্যসেবা

♦ দেয়ালে ফাটল ♦ খসে পড়ছে পলেস্তারা

মো. শামীম কাদির, জয়পুরহাট

জরাজীর্ণ ভবনে স্বাস্থ্যসেবা

২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স ও মায়েদের প্রসবসেবা দিয়ে সুনাম কুড়াচ্ছে জয়পুরহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। প্রতিদিন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোগী আসেন সেবা নিতে। তবে হাসপাতালটিতে রয়েছে জনবল সংকট। এ ছাড়া ভবন জরাজীর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে স্বাস্থ্যসেবা। দ্রুত ভবনটি সংস্কারের দাবি সচেতন মহলের।

১৯৭৯ সালে জয়পুরহাট শহরের প্রতিষ্ঠিত হয় সরকারি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। যা জয়পুরহাট মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল নামেও পরিচিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে রোগীদের সেবায় কাজ করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কয়েক মাসে এখানে ৩ শতাধিক স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়েছে। চিকিৎসাসেবায় হাসপাতালটি সুনাম কুড়ালেও জনবল সংকটের পাশাপাশি ভবনের অনেক জায়গায় ধরেছে ফাটল। কোনো কোনো স্থানে খসে পড়ছে পলেস্তারা। কোথাও দেয়াল ফুঁড়ে বের হয়েছে গাছের শিকড়। ভারী বর্ষণে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে ওয়ার্ডে। ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবন সংস্কারের দাবি রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। এ ছাড়া জনবল কম হওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফদের অনেক সময় ডাবল ডিউটি করতে হয়। এতে রোগীর পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় কর্তব্যরতদের। সদর উপজেলার পুরানাপৈল গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, আমার প্রসূতি স্ত্রীকে এ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। মেয়ে সন্তান হয়েছে। এখানে সেবা মোটামুটি ভালো। হাসপাতাল ভবনের অনেক জায়গায় ফাটল ধরায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। পাঁচবিবি উপজেলার বেড়া খাই গ্রাম থেকে আসা ফাতেমা আক্তার বলেন, কয়েক বছর আগে এখানে এসেছিলাম তখন ভবনের অবস্থা ভালো ছিল। এখন বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। হাসপাতালে জনবলও অনেক কম। হাসপাতালের স্টাফ শ্রদ্ধা ইয়াসমিন বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোগী হাসপাতালে আসছেন। আমরা জনবল কম নিয়েও রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ভবনটি অনেক পুরনো। অনেক জায়গায় ফাটল ধরায় দুশ্চিন্তায় থাকি, কখন ছাদ ভেঙে পড়ে। জয়পুরহাট পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা. কে এম জোবায়ের গালীব বলেন, এখানে মায়েদের স্বাভাবিক প্রসবের পাশাপাশি সিজারিয়ান সেবাও দেওয়া হয়। মাতৃমৃত্যু কমিয়ে আনার লক্ষ্যে হাসপাতালটি কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ হাসপাতালে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, জুনিয়র-সিনিয়র কনসালটেন্ট, শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ কিছু জনবল সংকট রয়েছে। জনবল বাড়লে সেবার পরিসর আরও বাড়বে। এ ছাড়া প্রতি জেলায় নতুন করে এ হাসপাতালগুলো ৫০ শয্যা করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। আমাদের হাসপাতালও সেই তালিকায় রয়েছে।

সর্বশেষ খবর