শিরোনাম
বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হারিয়ে যাচ্ছে কুতুবদিয়ার পাইলট কাটা খাল

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

হারিয়ে যাচ্ছে কুতুবদিয়ার পাইলট কাটা খাল

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় শাখাপ্রশাখা মিলে রয়েছে ৯টি খাল। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ হলো পাইলট কাটা খাল। এ খালে এক সময় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বড় বড় নৌকা নোঙর করত। তখন খালটির ৫৭০ ফিট প্রস্থ এবং গভীরতা ছিল ৪০-৫০ ফিট। দখল ও দূষণে বর্তমানে প্রস্থ দাঁড়িয়েছে ১৫০ ফিটে। গভীরতা আছে ১৫-২০ ফিট তা-ও জোয়ার হলে। ভাটার সময় গভীরতা থাকে মাত্র ৫-৭ ফিট। সরেজমিন দেখা যায়, পাইলট কাটা খালটি ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের কবজায়। খালের পাশে করা হয়েছে কয়েকটি শুঁটকি মাছের কিল্লা। জেলেরা সাগরে মাছ মেরে এখানে এনে শুকায়। এর সব বর্জ্য এসে পড়ে খালে। শুঁটকি কিল্লায় যারা কাজ করে সবাই টয়লেট সারেন খালের দুই পাশে। ফলে দূষণ হচ্ছে পানি। অন্যদিকে লেমশীখালী ইউনিয়ন ও কেয়ারবিলে মতির বাপের বাড়ি এলাকায় দখলের উদ্দেশ্যে খালের ভরাট করা হয়েছে দুই পাশ। এতে খালটি অর্ধেক হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে আবার লবণ চাষে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। বড়ঘোপ আজম কলোনির সোলাইমান মাঝি (৮০) বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমরা এ পাইলট কাটা খালে বোটগুলো রেখেছিলাম। তখন খালের গভীরতা ছিল অনেক। দিন দিন এটি ছোট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রেস ক্লাব কুতুবদিয়ার সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান হিরু জানান, কুতুবদিয়ায় প্রতিনিয়ত খাল দখল ও দূষণ হচ্ছে। খাল রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-এর কুতুবদিয়ার সভাপতি এম শহিদুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার খাল রাক্ষায় সরকার এখনই পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এখানে কোনো খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জজমিত্র চাকমা বলেন, এ বিষয় আমরা অবগত ছিলাম না। কেউ খাল দখল ও দূষণ করলে দ্রুত সময়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সর্বশেষ খবর