বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোপা আমনের বাম্পার ফলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

রোপা আমনের বাম্পার ফলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে এখানে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এখানকার প্রান্তিক কৃষকরা ধানের ফলনে খুশি। কৃষি বিভাগ সূত্র ও প্রান্তিক কৃষকরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে ব্রি-৭৫, ব্রি-৯০ বীনা-৭, বীনা-১৭, বিআর-২২সহ হাইব্রিড জাতীয় ধান আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল। সোনালি ধানের চোখ ধাঁধানো আভায় ভরে উঠেছে মাঠের পর মাঠ। প্রান্তিক কৃষকরা জানান, জমিতে সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধিসহ নানা কারণে তাদের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। তাদের দাবি, সার এবং কীটনাশকের দাম কমানো হলে ধানের উৎপাদন খরচ অর্ধেকে নেমে আসত। এতে ধান-চাল বিক্রি করে কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারতেন তারা। এ ছাড়া অনাবাদি জমিগুলোতেও ধানের আবাদ হতো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামের কৃষক মো. মাসুদ মিয়া বলেন, জমিতে ধান অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে আর আমরা যে দামে সার-কীটনাশক দিয়েছি এ দুয়ের মধ্যে কোনো মিল নেই। চালের দাম অনেক কম হয়ে গেছে। এতে আমরা খুব একটা লাভবান হতে পারব না। মো. কাইয়ুম নামে আরেক কৃষক বলেন, সরকার যদি সার এবং কীটনাশকের দাম একটু কমিয়ে দেয় তাহলে আমাদের যেসব অনাবাদি জমি আছে সেগুলোতে ধান চাষ করব। চালের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে আমরা লাভবান হতে পারব না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের বেশির ভাগ কৃষকই চিকন ধান আবাদ করেন। এ জাতের ধানের দাম বরাবরই বেশি থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে ৫১ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত ২০১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এবার আবাদ হয়েছে ৫৩ হাজার ৫১০ হেক্টর। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা। তারা যাতে খরচ কমিয়ে লাভজনক ফসল উৎপাদন করতে পারে সে জন্য আমরা কাজ করছি। এ বছর রোপা আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫০ টন। যার বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬৫ কোটি টাকা। জেলা খাদ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা কাউছার সজীব জানান, চলতি আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে সরকার জেলার সাতটি উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করবে।

অনলাইনে লটারির পর কৃষকদের কাছে থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৯৯৪ টন ধান এবং ৪৪ টাকা কেজি দরে ১৯ হাজার ১২৩ টন চাল সংগ্রহ করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর