শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলু বীজ নিয়ে সিন্ডিকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

আলু বীজ নিয়ে সিন্ডিকেট

বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় আলু বীজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা কৃষকদের জিম্মি করে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন এ বীজ। প্রতি বস্তা বীজ বিক্রি করছেন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা বেশি দামে। তারা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে ডিলার ও ব্যবসায়ীদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও বীজ মিলছে না। কৃষকরা জমি তৈরি করেও বীজের অভাবে আলু রোপণ করতে পারছেন না। চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত বীজ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা শুরু হয়েছে। শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে বীজ লাগে দেড় মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী এ উপজেলায় বীজ প্রয়োজন সাড়ে ৪ হাজার টন। কিন্তু বরাদ্দ মিলেছে অর্ধেকেরও কম। এসব বীজ বিক্রির জন্য ৪৫ ডিলার রয়েছে। এর মধ্যে বিএডিসির ১৮ জন, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের আটজন ও অন্যান্য কোম্পানির ১৯ জন। জানা যায়, ভালো ফলন পাওয়ার আশায় ব্র্যাক সিড অ্যান্ড এগ্রোর আলু বীজের দিকে কৃষক ঝুঁকে পড়েছেন। বিএডিসির আলু বীজের চাহিদা কম থাকায় এই বীজ উত্তোলন করছেন না ডিলাররা। এর সুযোগ নিয়ে ব্র্যাকসহ অন্যান্য কোম্পানির বীজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন ডিলার ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। স্থানীয় বাজারে ডিলার ও ব্যবসায়ীদের দোকানে দোকানে ঘুরেও বীজ পাচ্ছেন না চাষিরা। তবে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিলেই মিলছে কাক্সিক্ষত বীজ। উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের মামুর শাহী গ্রামের আইয়ুব আলী জানান, ব্র্যাকের ৪০ কেজির আলুর বীজ বি-গ্রেড ২ হাজার ৫২০ টাকা ও এ-গ্রেড ২ হাজার ৬৪০ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। আলু চাষীরা জানান, বেশি দামে বীজ কেনায় এবার একরপ্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি খরচ পড়বে। উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দফতরের তেমন কোনো মনিটরিং না থাকার সুযোগ নিয়ে সিন্ডিকেটটি পরিকল্পিতভাবে বাজারে আলু বীজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। শেরপুর খন্দকারপাড়ায় ব্র্যাকের ডিলার ফিরোজ আলী মাস্টার জানান, প্রত্যেক বীজ ডিলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাবডিলার (বীজ বিক্রেতা) নিয়োগ দিয়েছেন। মূলত তারাই কোম্পানির নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকা নিচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. ফারজানা আকতার জানান, এখানে বীজের সংকট নেই।

সর্বশেষ খবর