রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক

টাঙ্গাইলের সবজি যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক

শীতে রোপণের জন্য বীজতলা থেকে চারা তুলছেন কৃষক। টাঙ্গাইলের ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

টাঙ্গাইল জেলায় চলতি মৌসুমে শীতকালীন সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে কৃষক। তারা সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এসব সবজি বিক্রি করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা করা গেলে কৃষক অনেক লাভবান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর জেলায় শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর। চলতি বছরে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর। গত বছর জেলায় প্রচুর শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছিল। এসব বিক্রি করে কৃষক ব্যাপক লাভবান হয়েছিল। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শত শত বিঘা জমিতে শীতের হরেকরকম সবজি চাষ করেছে কৃষক। এর মধ্যে মুলা, বেগুন, করলা, ঢ্যাঁড়স, পটোল, শিম, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, গাজর, লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাক রয়েছে। প্রকল্পভিত্তিকও চাষ হচ্ছে এসব সবজি।

কৃষক জানায়, পুরো শীতেই বাজারে সবজির চাহিদা থাকে। মৌসুমের শুরুতে এর ভালো দাম পাওয়া যায়। তারা বরাবরই শাকসবজি চাষ করে আসছে। জেলার ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি এলাকার কৃষক আল-আমিন বলেন, ‘সবজি চাষ করে আমাদের সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। আমরা এখন স্বাবলম্বী। এখন আমাদের শাকসবজি বিক্রির জন্য হাটবাজারে যেতে হয় না। খেত থেকেই পাইকাররা ন্যায্য দামে কিনে নিয়ে যায়। দামও ভালো পাওয়া যায়। এ ইউনিয়নে প্রায় সব ধরনের শাকসবজি চাষ হয়। এ গ্রামকে ‘বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি’র গ্রাম বলা হয়। এসব শাকসবজি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে পাইকাররা।’ কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। মূলধনও তুলনামূলক কম লাগে। পরিশ্রমও অনেক কম। তবে সেবায় ত্রুটি করা যাবে না। কম সময়েই সবজি বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। প্রায় দিনই বাজারে সবজি বিক্রি করা যায়। পরিবারের চাহিদাও মেটানো সম্ভব। চলতি মৌসুমে সবজির দামও অনেক ভালো। সবজি চাষকেই আমরা লাভজনক মনে করছি।’ দেলদুয়ার উপজেলার আগ দেউলী গ্রামের কৃষক নয়ন আলী বলেন, ‘আমি ১ বিঘা জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করেছি। এখন পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা করলে সামনের বছর আরও বেশি জমিতে সবজি চাষ করব।’

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারহানুল কবির বলেন, ‘কৃষক বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষে বেশি আগ্রহী। এ সময় বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় ও ছত্রাকের আক্রমণ হয়। আমরা কৃষককে সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি যাতে ফসলের কোনো ক্ষতি না হয়।’ টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার দুলাল উদ্দিন বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শাকসবজির আবাদ কীভাবে বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রযুক্তিসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।’

সর্বশেষ খবর