বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অনলাইন লটারিতে নামই নেই, তবু বিদ্যালয়ে ভর্তি

জালিয়াতি তদন্তে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে অনলাইন লটারিতে নাম না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে সাতজন শিক্ষার্থী উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন ঘটনা ঘটে কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে (জিলা স্কুল)। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে জেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালকের নির্দেশে কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম গত রবিবার তদন্ত শুরু করেন। সোমবার এ প্রতিবেদককে জানান, সাতজন ছাত্র অনলাইনে আবেদন না করেই কীভাবে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুলের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র শিক্ষক মফিদুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হক সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছয় এবং নবম শ্রেণিতে একজন ছাত্রকে জোর করে ভর্তি করান- যা সরকারি নির্দেশনার স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি জানান, ভর্তিকৃত এসব ছাত্র ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের অনলাইনে কোনো আবেদনই করেনি এবং লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেয়নি। বিধি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক তো নয়ই, ভর্তি কমিটির সদস্যরাও লটারি প্রক্রিয়ার বাইরে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারেন না। প্রধান শিক্ষক জেলা প্রশাসকের অজুহাত দেখিয়ে ভর্তি কমিটিকে ওই ছাত্রদের ভর্তি করাতে বাধ্য করেছেন। ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ ভর্তি জালিয়াতি হয় বলেও জানান সিনিয়র শিক্ষক মফিদুল ইসলাম। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হক বলেন, প্রকাশিত লটারির ফলাফলের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ নেই। যেটা হয়েছে তা বিধিসম্মত হয়নি বুঝতে পেরে ওই সাত শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করেছি। শূন্য আসনে ভর্তির জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলমান। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, সরকারি কলেজের শিক্ষকের সন্তান হলেও তাদের অনলাইনে আবেদন করে লটারিতে অংশ নিয়ে টিকতে হবে। এমনকি কোটাভুক্ত হলেও লটারিতে থাকতে হবে। এর বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি কোনোভাবে বৈধ হবে না। কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে যা হয়েছে এটি শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালার স্পষ্ট পরিপন্থি।

 

 

সর্বশেষ খবর