বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

একমাত্র ভরসা ৭০০ ফুট দীর্ঘ সাঁকো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

একমাত্র ভরসা ৭০০ ফুট দীর্ঘ সাঁকো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের চেত্রা নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা প্রায় ৭০০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন শিশু শিক্ষার্থী, বয়োবৃদ্ধসহ হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। পাঁচ দশকের অধিক সময় ধরে এখানে একটি সেতুর দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী। তারা গেছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। প্রায় ২৭ বছর আগে নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেন।

এলাকাবাসী জানায়, সাঁকোটি ব্যবহার করে অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল, রানীদিয়া, কাকরিয়া, চরকাকরিয়া, রাজাপুর, বুনিয়ারটেক, ধামাউড়া, দুবাজাইল, সিঙ্গাপুর ও পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল, ফতেহপুর, পরমান্দপুর, হরিপুর, ষাটবাড়িয়া, বড়ইছাড়াসহ অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ। পাশের কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব ও বাজিতপুর উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষও ব্যবহার করেন এ সাঁকো। এসব গ্রামে লক্ষ্যাধিক মানুষের বসবাস। এসব মানুষের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র অরুয়াইল বাজার। অরুয়াইল বাজার ও আশপাশেই রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেখানে সেতু না থাকায় দুর্ভোগের অন্ত থাকে না কৃষিনির্ভর এ এলাকার মানুষের। তারা শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছেন।

এলাকাবাসী আরও জানায়, সাঁকোটি ব্যবহার করা হয় প্রতি বছর অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। অন্যসময়ে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তা খুলে ফেলা হয়। তখন এলাকাবাসী নৌকায় যাতায়াত করে।

২৭ বছর আগে প্রথমবার সাঁকোটি তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৭ লাখ টাকা। এরপর থেকে প্রতি বছর পুনর্র্নিমাণে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। রাণীদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য শরিফ খন্দকার বলেন, সাঁকোটি কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকবার ভেঙে গেছে। তখন এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এখানে ব্রিজ জরুরি দরকার। অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এলাকাবাসী এখানে সেতুর দাবি করে আসছে। এ সাঁকো দিয়ে পারাপারে মুমূর্ষু রোগী, প্রসূতি, নবজাতক ও বৃদ্ধদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। তিনি বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই চেত্রা নদীর ওপর সেতু করার জন্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে দৌড়াদৌড়ি করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুর রহিম মিয়া বলেন, আমাদের কাছে বিশেষ কোনো তথ্য নেই। দেড় মাস আগে আমাদের পিডি স্যার বাঁশের সাঁকোটি পরিদর্শন করে গেছেন।

সর্বশেষ খবর