শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কালভার্ট যেন মৃত্যুফাঁদ

রেলিং না থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা

জমির বেগ, ফেনী

কালভার্ট যেন মৃত্যুফাঁদ

ফেনীর ছাগলনাইয়া জনারহাট সড়কের মুখে কালভার্টটি যেন মৃত্যুফাঁদ। উপজেলার রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কুহুমা শান্তিরহাটের উত্তর পাশে ৫৫ বছরের পুরনো এ কালভার্ট যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে কোনো রেলিং নেই। এতে বড় ধরনের ক্ষতি বা প্রাণহানির শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ছাগলনাইয়ার সীমান্তহাটে যাওয়ার সড়কের মুখে এ কালভার্ট থেকে ৩০ নভেম্বর একটি প্রাইভেটকার খালে পড়ে যায়। এলজিইডি বলছে, সেখানে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৮ সালে ৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যরে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর এটি কোনো দিন মেরামত করা হয়নি। ওই কালভার্টের ওপর দিয়ে শত শত ভারী যানবাহন চলাচল করে। শিশু শিক্ষার্থীসহ শত শত এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা এ কালভার্ট দিয়ে চলাচল করে। সবচেয়ে বেশি শঙ্কা থাকে রাতে এখান দিয়ে চলাচলে। সরেজমিন দেখা যায়, কালভার্টের রেলিং নেই। পিলারের মাটিও সরে গেছে, ফাটল দেখা দিয়েছে। রড বের হয়ে আছে। ভারী যান উঠলে দুলতে থাকে এটি। স্থানীয় বাসিন্দা নুর উদ্দিন খান আক্ষেপ করে বলেন, উপজেলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মধ্যে এ সড়ক অন্যতম। এখান দিয়ে বিজিবি ক্যাম্প, সীমান্তহাট, শুভপুর বালুমহাল, করেরহাট যাওয়া-আসা করা হয়। প্রতিদিন শত শত পণ্যবাহী ভারী যান চলাচল করে থাকে। মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে এ কালভার্ট দিয়ে চলাচল করছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য, উত্তর কুহুমা গ্রামের মাহতাব উদ্দিন মজুমদার জানান, এ কালভার্টের রেলিং নেই অনেক বছর ধরে। ৩০ নভেম্বর জিনারহাট যাওয়ার পথে কালভার্ট থেকে একটি প্রাইভেটকার খালে পড়ে যায়। এর আগে যাত্রীসহ অটোরিকশা পড়ে যায় খালে। রেলিং না থাকায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যে কোনো মুহূর্তে কালভার্ট ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।

রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কালভার্টটি বহু বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখানে পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কালভার্টটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় এখানকার সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। আমরা এস্টিমেট পাঠিয়েছি। অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন আছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর