শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভবন আছে চিকিৎসক নেই

চারটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবাবঞ্চিত রোগী

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ভবন আছে চিকিৎসক নেই

ভবন উদ্বোধনের সাত বছর পার হলেও চিকিৎসকের অভাবে খানসামা উপজেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। এখানে ভবন আছে। রোগীদের ১০টি বেড আছে। চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবনও আছে। নেই শুধু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। এ অবস্থা বিরাজ করছে খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। শুধু এটা নয়, একই অবস্থা দিনাজপুরে এ ধরনের চারটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। খানসামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অতিরিক্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান হারুন বলেন, চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হলে এখানে রোগীদের পরিপূর্ণভাবে সেবা দিতে পারব। সূত্র জানায়, দিনাজপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি এর উদ্বোধন করেন। এর পর সাত বছর এখানে কোনো চিকিৎসক নেই। সরেজমিন ওই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে দেখা যায়, শুধু নরমাল ডেলিভারি করতে এখানে একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, একজন নার্সিং অ্যাটেন্ডমেন্ট, একজন ফার্মাসিস্ট, পাহারাদার ও ঝাড়ুদার রয়েছে। দেখা মেলেনি কোনো চিকিৎসকের। সিজিয়ারিয়ান চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। ভবনে অধিকাংশ স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল, নিম্নমানের বৈদ্যুতিক তারের কারণে শর্টসার্কিটের মতো ঘটনাও ঘটেছে। সেবা নিতে আসা কয়েকজন জানান, এখানে এসে কোনো লাভ নেই। শুধু চেকআপ ছাড়া কিছুই করা যায় না।

ভুক্তভোগী মুন্না বলেন, আমার ছেলের অনেক জ্বর, চিকিৎসা নিতে বাইরে যাচ্ছি। কী আর বলব। এটা নামে মাত্র মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র কিন্তু কাজের নয়। পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আরফান সিরাজ বলেন, এখানে ব্যবহার করা বৈদ্যুতিক তার খুবই নিম্নমানের। অনেক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভবনের কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছে। খানসামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অতিরিক্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান হারুন জানান, এখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০ রোগী আসে। সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়। চিকিৎসকের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করছি, ৪৫তম বিসিএসে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। দিনাজপুর জেলায় এ ধরনের চারটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে, সবগুলোর একই অবস্থা। তিনি আরও জানান, যতটুকু জনবল আছে তা দিয়ে সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এ হাসপাতালে প্রতি মাসে ৮-১০ জনের স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর