শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পদ্মায় বালু লুট চলছেই

কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেট

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

পদ্মায় বালু লুট চলছেই

পদ্মা সেতু এলাকায় বালু হরিলুট চলছে। ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তুলে সরকারি প্রকল্পে ফেলার কথা থাকলেও তা না মেনে বাল্কহেড মালিকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু ড্রেজার মালিক সিন্ডিকেট। সরেজমিন দেখা গেছে, পদ্মা সেতুর লৌহজং অংশে ১০ নম্বর পিলার থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা অংশের ২৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত ২০-২৫টি কাটার লোডিং ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে কয়েকটি ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। যা এক টাকা ফুট দরে বিক্রয় করা হচ্ছে বাল্কহেড মালিক ও শ্রমিকদের কাছে। এ বালু কিনে নিতে শতশত বাল্কহেড রয়েছে অপেক্ষায়। এভাবে প্রতিদিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত লৌহজং ও জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কিছু নেতা-কর্মী। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দুটি ভাগে ১৯টি কাটার ড্রেজার দিয়ে লৌহজং ও জারিরা অংশে বালু তোলার অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এর মধ্যে কাগজপত্রের সঙ্গে নামের মিল না থাকাসহ বিভিন্ন গরমিলের কারণে তিনটি ড্রেজারের অনুমোদন বাতিল করা হয়। এসব ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তুলে সরকারি প্রকল্পে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে এমন নির্দেশনা দেয় পদ্মা সেতুু কর্তৃপক্ষ। তবে ওই নির্দেশনা না মেনে উত্তোলন করা বালু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছে চক্রটি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাল্কহেড শ্রমিক জানান, আমরা জাজিরা ও লৌহজং অংশ থেকে প্রতি ফুট বালু এক টাকা দরে কিনে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করি।

মদিনা ড্রেজারের ম্যানেজার ফয়সাল বলেন, এখানে আবদুর রশিদ শিকদারের তিনটি ড্রেজার রয়েছে। প্রতিটি ড্রেজারই এক টাকা ফুট দরে বাল্কহেড মালিকদের কাছে বালু বিক্রি করে। শিমুলিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান বলেন, দুই উপজেলায় ১৬টি ড্রেজারের অনুমোদন দেওয়া হলেও লৌহজং উপজেলায় মাত্র দুটি ড্রেজার চলমান রয়েছে। আমাদের টহল টিম সব সময় ড্রেজিংয়ের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বালু বিক্রিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ড্রেজিংয়ের বিষয়টি পর্যালোচনা করেছি, তবে এমন কোনো তথ্য পাইনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর