বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেহাল শহীদনগর-জুরানপুর সড়ক

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

বেহাল শহীদনগর-জুরানপুর সড়ক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর-জুরানপুর সড়কে হাঁটুসমান বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ১২ গ্রামের মানুষ। গর্তের সামনে এলে যাত্রী নামিয়ে যানবাহনগুলো হেলেদুলে পার হয়। এমন অবস্থা চলছে ছয় বছর ধরে। শীতে ধুলাবালি আর বর্ষায় কাদায় আটকে দুর্ভোগে পড়েন এ সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষ। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার সুন্দলপুর মডেল ইউনিয়ন ও বারপাড়া ইউনিয়নে ৬ কিলোমিটার এ রাস্তাটিতে রয়েছে শতাধিক গর্ত। প্রায় সময় দেবে যাচ্ছে ট্রাক, সিএনজি-অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের চাকা। অর্ধযুগ ধরে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির এমন বেহাল অবস্থা চলতে থাকলেও নেওয়া হয়নি কার্যকর পদক্ষেপ। সড়কটির আশপাশে রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজার। এর মধ্যে জুরানপুর আদর্শ কলেজ, করিমুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয়, জায়গীর কামিল মাদরাসা, সুন্দলপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় অন্যতম। প্রতিদিন এখান দিয়ে যাতায়াত করেন ভাগলপুর, ষোলপাড়া, সাতপাড়া, দশপাড়া, সুন্দলপুর, গয়েশপুর, জায়গীর, সুখীপুর, রাঙ্গাশিমুলিয়া, হামির্দ্দী, চখমখোলা, চরগোয়ালী, বড়গোয়ালী ও মুদাফরদী এলাকার মানুষ। স্থানীয় মাহবুবুল হক জানান, বর্ষায় তাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সামান্য বৃষ্টিতেই অনেক সময় গর্তে ফেঁসে যায় বড় বড় ট্রাক ও বিভিন্ন যাত্রীবাহী যানবাহন। হেঁটে চলাচলের সময় গর্তে পড়ে যান অনেকে। স্থানীয় এক শিক্ষক জানান, বৃষ্টির দিনে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় সবাই আতঙ্কে থাকেন। কারণ অনেক সময় রিকশায় থাকলেও কাদা ছিটকে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য আমাদের অনেক শিক্ষক অতিরিক্ত কাপড় নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসেন। দশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মীর মো. সোহেল রানা ও সুন্দলপুরের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটির এ বেহাল অবস্থা অর্ধযুগ হয়ে গেলেও প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যেন কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সুন্দলপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসলাম মিয়াজী বলেন, রাস্তাটির এমন চিত্র সত্যিই দুঃখজনক। এ কারণে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে অসহায় মনে হয়। বারপাড়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম (মানিক সওদাগর) বলেন, তিনি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনিও চান রাস্তাটি সংস্কার হোক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন খন্দকার বলেন, উপজেলার শহীদনগর-জুরানপুর সড়কের টেন্ডার হয়ে গেছে। আশা করছি, নির্বাচনের পর কাজ শুরু হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর