শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভাঙা সেতু গলার কাঁটা

চাঁদপুর প্রতিনিধি

ভাঙা সেতু গলার কাঁটা

চাঁদপুর সদর উপজেলায় একটি সেতু প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভেঙে পড়ে রয়েছে। এতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার স্লুইস গেট খালের ওপর এই সেতু ২০১৫ সালে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ২-৩ বছরের মধ্যেই এটি ভেঙে পড়ে। এটি এখন এলাকাবাসীর জন্য গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। সেতুটি খালের মাঝে হুমড়ি খেয়ে পড়ে থাকায় এখান দিয়ে কোনো নৌযান পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে না। দুই পারের জনসাধারণ ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের খাল পারাপারে এখানে একটি বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। তবে ওই সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকে খালের পানিতে পড়ে যান। খাল পাড়ের বাসিন্দা শাহ আলম আখন্দ বলেন, সেতুটি সাত বছর আগে নির্মাণ করা হয়। এটি ৪-৫ বছর ধরে ভেঙে খালের মধ্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে। এই সেতুর গাইডওয়ালে পানি বাধা পেয়ে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়। এতে আমাদের বসতভিটি ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। যে কোনো সময় আমাদের বাড়ি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকি। এটি দ্রুত অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী বলেন, উপজেলা থেকে সেতুটি অপসারণের জন্য অকশন করা হয়েছে। ঠিকাদার অকশন নিলেও এটি অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ইতোমধ্যে অপসারণের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। সেতুটি অপসারণে সদর উপজেলা পিআইওকে বারংবার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি। ইউপি মেম্বার আলী আহম্মদ বলেন, বাংলাবাজার স্লুইস গেটের খালের ওপর ব্রিজটি এলাকার মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। দুই পাড়ের জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ভাঙা ব্রিজের পাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকে খালের পানিতে পড়েছে। বর্ষায় পানির স্রোতে খালের দুই পাড়ের জমি ভেঙে খালের প্রস্থ বেড়ে গেছে। আগে খালের প্রস্থ ৭০ ফুট থাকলেও এখন দুই পাশের জমি ভেঙে ১৪০ ফুটে পৌঁছেছে। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সম্প্রতি মৌখিকভাবে আমাকে ব্রিজটি অপসারণের কথা বলেছেন। তবে অফিস থেকে লিখিত অনুমতি ছাড়া আমি কীভাবে ব্রিজটি অপসারণের কাজ করি। চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ২০১৬ সালে যোগদানের আগেই সেতুটির টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। তখন উপসহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সেতুর কাজটি তদারকি করেছেন। বর্তমানে ভাঙা সেতুটি অপসারণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সদর উপজেলার মৈশাদীর ঠিকাদার শাহ-আলম কাজটি পায়। কিন্তু ঠিকাদার অপসারণের কাজটি করতে দীর্ঘ বিলম্ব করছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর