রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাত ফুট লম্বা কলার ছড়ি

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

সাত ফুট লম্বা কলার ছড়ি

প্রায় ৩ হাজার কলা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ‘অদ্ভুত’ একটি কলা গাছ। এমন একটি কলা গাছের সন্ধান মিলল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিমপুর থানার লতিফপুর গ্রামের মনপুরা পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে। যা দূরদূরান্ত থেকে দেখতে আসছেন দর্শনার্থীরা। পার্কে এসে বাড়তি আনন্দ পাচ্ছেন ছোট বড় অনেকে। প্রায় দুই বছর আগে প্রথম একটি গাছ লাগানো হয়। তবে আগের গাছে প্রায় ২ হাজার কলা ছিল। কলা ভালো না হওয়ায় পাকার পরে গাছটি কেটে ফেলা হয়। এর পর নতুন কুশি থেকে এই গাছের জন্ম হয়। জন্মের আট মাসের দিকে ফলন আসতে শুরু করে। এ গাছে বাড়তি কোনো পরিচর্যা প্রয়োজন হয় না। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, চাইলে অন্য যে কোনো রিসোর্টের মালিক বা বাগানবাড়িতে নিয়ে লাগাতে পারেন।

কলা গাছটি সম্পর্কে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, দুই বছর আগে মনপুরা পার্কে ঘুরতে এসে এক দর্শনার্থী একটি কলার চারা উপহার হিসেবে দিয়ে যায়। পরে এটি পার্কে রোপণ করে কর্তৃপক্ষ। ধীরে ধীরে ওই চারাটি বড় হতে থাকে। এক সময় চারা গাছটি বড় হয়ে কলাও ধরে। ওই ছড়িটিও বড় হয়। পরে ওইখান থেকেই নতুন করে একটি কলার চারা জন্ম নেয়। কলা গাছটি বড় হয়। ছয় মাস আগে গাছটিতে কলার ছড়ি বের হয়। ছড়িটিও বড় হতে থাকে। বড় হতে হতে কলার ছড়িটি প্রায় সাত ফুট লম্বা হয়ে মাটি ছুঁয়ে যায়। ছড়িটিতে কয়েক হাজার কলা ধরেছে। ছড়ির ওপরের অংশের কিছু কলা খাওয়ার উপযোগী। তবে নিচের কলাগুলো একেবারেই ছোট, যা খাওয়ার অনুপযোগী। ওই গাছের কলা খেতে চম্পা কলার মতোই স্বাদ। এ ধরনের কলার ছড়ি সচরাচর দেখা যায় না। শহিদুল নামে এক দর্শনার্থী বলেন, লম্বা কলার ছড়ির কথা শুনে গাছটি দেখতে গিয়েছিলাম। ওপরের দিকের কলাগুলো একটু বড়। কয়েকটি কলা পেকে গেছে। আর নিচের দিকের কলাগুলো খুবই ছোট। এত বড় কলার ছড়ি জীবনেও দেখিনি। আমার মতো সবাই কলা গাছটি দেখতে পার্কে ভিড় জমিয়েছেন।

মনপুরা পার্কের ব্যবস্থাপক জায়েদ হাসান জানান, কলা চারাটির কোনো যত্ন নেওয়া হয়নি। এমনিতেই বড় হয়। গাছটিতে কলাও ধরে। এবারই প্রথম গাছের কলার ছড়িটি এত বড় হয়েছে। ছড়ি বড় হতে থাকলে গাছটির যত্ন নেওয়া হয়। কলার ছড়ির ভারে যাতে গাছ ভেঙে না পড়ে তাই দুটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটি হাজারিকা জাতের কলা গাছ। কলার ছড়ি দেখতে অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে পার্কে আসছেন।

গাজীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, কলার ছড়িটা দেখে আমরা পার্কে গিয়েছিলাম। ছড়িতে প্রায় ২ হাজার কলা রয়েছে। ওপরের কলাগুলো খাওয়ার উপযোগী থাকলেও নিচের কলাগুলো খাওয়ার অযোগ্য।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর