বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাবার মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রশিক্ষক স্বীকৃতি চান সন্তানরা

নাটোর প্রতিনিধি

মহান মুক্তিযুদ্ধে নাটোরের মানুষকে যিনি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সেই শহীদ ক্যাপ্টেন হাবিবুর রহমানের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন তার ছেলে ও মেয়ে। নাটোরের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বা কোনো স্মৃতিস্তম্ভে তার নামটির ঠাঁই হয়নি। নাটোরের সব মুক্তিযোদ্ধাই তার বীরত্বগাথার তথ্য জানেন। গতকাল স্মরণ সভায় তারা এ দাবি জানান।

নাটোরের জেলা খাদ্য বিভাগ কার্যালয় চত্বরে এ সভার আয়োজন করে জেলা খাদ্য বিভাগ ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার রেজাউল হক এতে সভাপতিত্ব করেন। স্মরণ সভায় স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফিরোজ আখতার মনি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রশিক্ষক জমসেদ আলী, শহীদ ক্যাপ্টেন হাবিবুর রহমানের আমেরিকা প্রবাসী বড় মেয়ে সিতারা নাহিদ এবং অস্টেলিয়া প্রবাসী ছোট ছেলে হাফিজ মনসুর রহমান, লেখক গবেষক খালিদ বিন জালাল বাচ্চু ও খাদ্য বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ ক্যাপ্টেন হাবিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধকালীন সেনাবাহিনী থেকে প্রেষণে নাটোর মহকুমা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ওই সময় অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলেও, সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি নাটোরের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন ও বর্তমান রাণীভবানী সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে প্রশিক্ষণ দেন। তা জানাজানির পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাকে আটক করে। পরবর্তীতে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ক্যাপ্টেন হাবিবুর রহমানের বীরত্বপূর্ণ অবদান নিয়ে গবেষণা এবং স্বীকৃতির দাবি জানান বক্তারা। তার মেয়ে সিতারা নাহিদ বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর তার মা মারা গেছে। তখনও তার মা স্বামীর কোনো স্বীকৃতি দেখে যেতে পারেননি। তিনি বলেন, আমাদের অর্থের কোনো অভাব নেই, বাবার পেনশনের একটি টাকাও তার মা কখনো সরকারের কাছ থেকে নেননি। তাই অর্থ নয়, তারা চান বাবার স্বীকৃতি ও সম্মান। খাদ্য বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের তিনি দাবি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর