বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচনের প্রভাব নেই ছাপাখানায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

নির্বাচনের প্রভাব নেই ছাপাখানায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচন ঘিরে টাঙানো হচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার। প্রধান প্রধান সড়ক থেকে পাড়া-মহল্লার গলি ছেয়ে গেছে প্রচারণামূলক পোস্টারে। তবে এবার জেলার ছাপাখানাগুলোয় কাজের চাপ অনেক কম, জানান সংশ্লিষ্টরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, ডিজিটাল প্রচারণা ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় পোস্টার ও লিফলেটের চাহিদা অনেক কমেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় ছাপাখানা রয়েছে ৩০টি। এর মধ্যে পোস্টার, লিফলেটসহ নির্বাচনি কাজ হচ্ছে মাত্র ১০টিতে। বাকিগুলোয় এজাতীয় কোনো কাজ নেই। জেলার সবচেয়ে বড় ছাপাখানা মৌসুমি অফসেট প্রেসে নির্বাচনের ব্যস্ততা তেমন একটা নেই। অতীতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যে কর্মচাঞ্চল্য ছিল তা এবার সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। অন্য ছাপাখানাগুলোতেও একই অবস্থা। প্রতীক বরাদ্দের পর পোস্টার-লিফলেট ছাপার জন্য পর্যাপ্ত অর্ডার নেই। প্রেসের শ্রমিকরা বলেন, আগে নির্বাচন উপলক্ষে কাজের অত্যধিক চাপ থাকত। ওভারটাইমে কাজ করে বাড়তি টাকা আয় করতেন তারা। কিন্তু সে তুলনায় এবার কাজ খুব কম। ফলে অনেক মুদ্রণ শ্রমিক অলস সময় অতিবাহিত করছেন। মৌসুমি অফসেট প্রেসের ডিজাইনার মনিরুজ্জামান জানান, অতীতের নির্বাচনে প্রচারণা শেষের তিন-চার দিন আগ পর্যন্ত পোস্টার-লিফলেট ছাপার কাজ হতো। এখন প্রার্থীরা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারণায় খরচ করেন বেশি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ এবং হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য ছোট দলের প্রার্থীরা পোস্টার-লিফলেট কম ছাপাচ্ছেন। এ জন্য সব ছাপাখানায় অনেক কাজ কমেছে। তন্বী অফসেট প্রেসের স্বত্বাধিকারী মো. জামাল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি ২০ লাখ টাকার কাজ পাওয়ার আশা করেছিলাম। কিন্তু তেমন কাজের অর্ডারই পাচ্ছি না। এবার কয়েক লাখ টাকার কাজ করতে পারব কি না- তা নিয়েও সন্দিহান। মুদ্রণ শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার প্রতি পিস পোস্টার ৪ টাকা আর লিফলেট ৬০ পয়সায় ছাপানো হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি বর্গফুট ব্যানারে প্রিন্টিং খরচ পড়ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। নির্বাচন উপলক্ষে এবার অন্তত ২ কোটি টাকার কাজ পাওয়ার আশা ছিল প্রেস মালিকদের। কিন্তু সব মিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার অর্ডার পাওয়া যেতে পারে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুদ্রণশিল্প মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুজ্জামান ইমরান বলেন, প্রার্থী বেশি হলে এবং প্রচার-প্রচারণার প্রতি আগ্রহ থাকলে আমরা প্রত্যাশিত আয় করতে পারতাম। কিন্তু এবার সেটি হচ্ছে না। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের প্রার্থীরা ঢাকা, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে ছাপার কাজ করাচ্ছেন। এবার সবমিলিয়ে ৮-১০ লাখ পিস পোস্টার এবং প্রায় ৬০ লাখ পিস লিফলেট ছাপার অর্ডার আসতে পারে, জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর