শিরোনাম
শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

খানাখন্দে ভরা ৬ কিলোমিটার

ভোগান্তিতে হাজার হাজার মানুষ

পিরোজপুর প্রতিনিধি

খানাখন্দে ভরা ৬ কিলোমিটার

বেহাল পিরোজপুর-টগড়া সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নে ২৪ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। এ ইউনিয়নের মানুষের জেলা শহরে যাতায়াতের রাস্তাটি খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্ত হয়ে বর্তমান বেহাল দশা। সড়কটি পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার অনুপযোগী অবস্থায় পড়ে আছে। এ দীর্ঘ সময়েও এটি মেরামত কিংবা যাতায়াত উপযোগী করতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে। এলাকাবাসী জানায়, পিরোজপুর-টগড়া সড়কের চালনা ব্রিজ থেকে পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদ ও লাহুড়ী বাজার হয়ে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি মিশেছে পিরোজপুর জেলা শহরের কৃষ্ণচূড়া মোড়ে। পাড়েরহাট ইউনিয়নের নলবুনিয়া, বাটাজোড়, লক্ষীদিয়া, বাড়ৈখালী, চড় বাড়ৈখালী, গাজীপুর, দড়িচর গাজীপুর, লাহুরী এবং চড় লাহুরী গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তাটি ব্যবহার করে। চালনা ব্রিজ থেকে লাহুড়ী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটারে কার্পেটিং উঠে গেছে। বিভিন্ন স্থানে ইট বালু খোয়া সুরকি উঠে ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার এ অংশে বর্ষা মৌসুমে কাদা-পানি জমে যায়, আর শুকনো মৌসুমে ধুলোয় পুরো শরীর ঢেকে যায়। এর মধ্যে রাস্তাটির প্রায় তিন কিলোমিটার অংশে সংস্কারকাজ চার বছর আগে শুরু হলেও ঠিকাদার পুরো কাজ সম্পন্ন না করেই ফেলে গেছেন। তিন বছর ধরে ওই অবস্থায় পড়ে আছে। লাহুড়ী থেকে ঝনঝনিয়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ইটের রাস্তা প্রায় ৩০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এ অংশটি পুরোপুরি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। ঝনঝনিয়া থেকে বলেশ^র ব্রিজ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং উঠে খুবই খারাপ অবস্থায় আছে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি খুবই বেহাল দশায় পড়ে আছে। এটি মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রতিদিনই যাত্রীদের মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, প্রসূতি, বয়োবৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের।

পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান তালুকদার শাওন রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে জানান, এটি দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে। রাস্তাটির খারাপ অবস্থার কারণে ইউনিয়নবাসীর কাছে নানাভাবে জবাবদিহি করতে হয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন জানান, রাস্তাটির এস্টিমেট তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এরপর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর