মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আবর্জনার স্তূপ ঘাঘড়া ক্যানেলে

জন্ম নিচ্ছে জীবাণু, অতিষ্ঠ পৌরবাসী

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

আবর্জনার স্তূপ ঘাঘড়া ক্যানেলে

দিনাজপুর শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাঘড়া ক্যানেল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দিনাজপুর শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ঘাঘড়া ক্যানেল আবারও আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে অবৈধ দখল। বিভিন্ন এলাকার ময়লা-আবর্জনায় ক্যানেলটির পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কোথাও কোথাও দখল হওয়ায় কমে গেছে ক্যানেলটির প্রশস্ততা। এতে একদিকে শহরের পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। পরিবেশ দূষণও বাড়ছে। এখানে জন্ম নিচ্ছে অগুনতি মশা। যা পৌরবাসীকে অতিষ্ট করে তুলেছে। সঠিক পরিকল্পনা ও নজরদারির অভাবে খননের পর আবারও আবর্জনার ভাগাড় আর অবৈধ দখলে চলে গেছে ক্যানেলটি, বলছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, এখনকার পরিস্থিতি দেখে মনে হয় এটার দেখভালের দায়িত্বে কেউ নেই। সংশ্লিষ্টরা জানান. দিনাজপুর শহরের জলাবদ্ধতা দূর করতে ১৬৩ বছর আগে ১৮৫১ সালে ইংরেজ ডিস্ট্রিক কালেকক্টর স্কটের আমলে মহারাজা গিরিজানাথ দৃষ্টিনন্দন ঘাঘরা ও গিরিজা ক্যানেল খনন করেন। শহরের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত ক্যানেল দুটি সংস্কার, সংরক্ষণ ও দখলমুক্ত হলে এর সুফল পাবে শহরের ৩ লাখ ২৫ হাজার মানুষ। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে ঘাঘড়া ও গিরিজা ক্যানেল আবজর্নায় ভরাট হয়ে যায়। অবৈধ দখলবাজিও চলছে। এতে এর পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা কমে গেছে। আবর্জনা পচে সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। মশাসহ নানা রকমের জীবাণু এখানে জন্ম নিচ্ছে। ক্যানেল সংস্কার, সংরক্ষণ ও অবৈধ দখলমুক্ত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা প্রশাসন ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে উচ্ছেদ অভিযান। ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘাগড়া ক্যানেলের ২৯ কিলোমিটারের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার খনন কাজ সস্পন্ন হয়। কিন্তু এর পর আবারও অবৈধ দখল হচ্ছে, অভিযোগ সাধারণ নগরবাসীর। ঘাগড়া ক্যানেলের বাকি অংশে খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রয়োজন, মনে করেন পৌরবাসী। দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল বলেন, পরিকল্পনা ও সঠিক নজরদারির অভাবে খাল খনন, সংস্কার বা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সুফল পাচ্ছে না পৌরবাসী। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর জামান (নয়ন) জানান, ক্যানেলটি খননের পর শহরের জলাবদ্ধতা অনেকটা নিরসন হয়েছে। বড় বড় শহরে এসব ক্যানেলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ দেখভাল করে থাকে পৌরসভা। এখানে দেখার কথা দিনাজপুর পৌরসভার। এসব কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাদ্দ নেই।

সর্বশেষ খবর