বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভাঙা সেতুতে তক্তা বিছিয়ে চলাচল

ফেনী প্রতিনিধি

ভাঙা সেতুতে তক্তা বিছিয়ে চলাচল

ফেনীর দাগনভূঞায় একটি সেতুর মাঝের কিছু অংশ ভেঙে গেছে দুই বছর আগে। সেখানে তক্তা বিছিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখান দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। সেতুটি মেরামতে এ দীর্ঘ সময়েও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, আশঙ্কা এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নে বৈঠারপাড়া ও চন্দ্রদ্বীপের মধ্যে সংযোগ সেতুটির মাঝের কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় সেখানে দেওয়া হয়েছে তিনটি বড় তক্তা। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। বৈঠারপাড়া গ্রামে আমুভূঞার হাট, গজারিয়া রাজাপুর, হাছানিয়া দাখিল মাদরাসা, চন্দ্রদ্বীপ গ্রামের হাইস্কুল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ তাদের দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনে এই ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও বৈরাগীরহাট বাজারে আসা অসংখ্য মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে এ সেতু দিয়ে। সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির মাঝখানে এক অংশ ধসে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। চলাচলের জন্য যে তক্তা বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তার ওপর দিয়ে হেঁটে চলাচল করা গেলেও কোনো পরিবহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। ফেনী সরকারি কলেজের ছাত্র শহিদুল ইসলাম সৈকত বলেন, চন্দ্রদ্বীপ থেকে এই সেতু পার হয়ে প্রতিদিন কলেজে যেতে দুর্ভোগের আশঙ্কায় থাকতে হয়। সিনজি চালক আবুল কাসেম জানান, অনেক ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। বিশেষ করে রোগী ও অসুস্থ মানুষসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে চলাচল করতে খুবই ভয় হয়। স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই বছর আগে সেতুটি ভেঙে গেছে। শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীরা জানান, ভাঙা সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে তাদের খুব ভয় লাগে। কয়েক দিন আগে এক ব্যক্তি সেতু পারাপারের সময় আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাদের উৎপাদন হওয়া পণ্য নিয়ে এ সেতু দিয়ে বাজারে যেতে হয়। স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান জানান, সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত সংস্কারের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ জানান, সেতুটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে এসেছি। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতুর কাজ শুরু করা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর