বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঠান্ডায় জবুথবু জনজীবন

সৈয়দপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস

প্রতিদিন ডেস্ক

ঠান্ডায় জবুথবু জনজীবন

কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সড়ক ও লোকালয়। লালমনিরহাট (বাঁয়ে) ও দিনাজপুরের ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে গেছে জনজীবন। নীলফামারীর সৈয়দপুরে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর : জেলায় বিকালের পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস, সন্ধ্যা থেকে পড়তে থাকে ঘন কুয়াশা। দিনেও যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছেন চরম সমস্যায়। বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। এ মাসে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। কেউবা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। দিনমজুর আবদুর রহিম জানান, দুই দিন ধরে ঠান্ডা বাতাসে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। কাজে যেতে পারছি না। কাজেও কেউ ডাকে না।  লালমনিরহাট : জেলায় তিন দিন ধরে কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে তিস্তা-ধরলাপাড়ের শতাধিক চরের মানুষের অবস্থা একেবারে কাহিল। সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার পাঁচটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৭ শিশু ও বৃদ্ধ ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৩ জন। জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯ জন। মহাসড়কগুলোতে ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায়ও লালমনিরহাটে সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি। গতকাল লালমনিরহাট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা কাহিল হয়ে পড়ছেন। অনেকে খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। নীলফামারী : দুই দিন ধরে নীলফামারীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করেনি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও বেসরকারি দুটি এয়ারলাইনসের একটি করে ফ্লাইটের ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েন। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, সৈয়দপুরের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের সর্বনিম্ন। সকালে দৃষ্টিসীমা ৫০ মিটারের কম থাকায় বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর