সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভোট উৎসবে মেতেছিল পাহাড়

প্রতিদিন ডেস্ক

ভোট উৎসবে মেতেছিল পাহাড়

রাঙামাটির একটি কেন্দ্রে নারী ভোটারের লাইন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভোট উৎসবে মেতে উঠেছিলেন তিন পার্বত্য জেলার ভোটাররা। গতকাল সকাল থেকেই ভোটের মাঠের পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রাঙামাটি : সকাল থেকেই পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। রাঙামাটি ২৯৯ নম্বর আসনের বেশির ভাগ কেন্দ্র ছিল ৮০ ভাগ পরিপূর্ণ। গতকাল সকাল ৮টায় শুরু হয় জেলার ১০টি উপজেলার ২১৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম। জেলা সদরসহ বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, রাজস্থলী ও বাঘাইছড়ির দুর্গম উপজেলাগুলোতেও স্বাভাবিক ছিল ভোট গ্রহণ কার্যক্রম। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙালি নারী-পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মাঠে ছিল। তবে অদৃশ্য ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন। সকাল সাড়ে ১০টায় চম্পকনগর এলাকায় সহধর্মিণী ও সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দেন নৌকার প্রার্থী দীপংকর তালুকদার। এরপর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। তবে একেবারেই ভোটের মাঠে ছিল না আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী, স্বতন্ত্র প্রার্থী (লাঠি) আমর কুমার দেয় ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী (সোনালি আঁশ) মো. মিজানুর রহমান। কেন্দ্রগুলোয় ছিল না তাদের কোনো পোলিং এজেন্টও। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ইকরামুল উল্লাহ চৌধুরী বলেন, অনেক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল ভোট কেন্দ্রগুলোতে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বান্দরবান : জেলার সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রচন্ড শীত ও কুয়াশার কারণে সকালে অনেক ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে নারী-পুরুষ এবং নবীন ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সকাল ৮টার কিছুটা আগেই বান্দরবান সরকারি কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে বিপুলসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পছন্দের প্রার্থীকে আগেভাগে ভোট দেওয়ার জন্য তাদের লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সকালে রিটার্নিং অফিসার ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন এই কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন। এ সময় পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন এবং অন্য কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন। ভোটার উপস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের কাছে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, আমরা দুর্গম অঞ্চল ও প্রান্তিক এলাকার ভোট কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের বিশেষ টিম সতর্ক নজর রাখছে। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী এ টি এম শহীদুল ইসলামের ভোট কেন্দ্র লামা উপজেলায়। তিনি সকাল থেকেই অবস্থান করছিলেন বান্দরবান জেলা সদরে। শহরের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে তিনি বান্দরবান সরকারি কলেজ কেন্দ্রে আসেন। এখানে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ভোট সুষ্ঠুভাবে চলছে। জেলার ১৮২টি কেন্দ্রের সবকটিতেই তিনি পোলিং এজেন্ট দিয়েছেন এবং কোনো বাধা ছাড়াই তারা ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। বান্দরবান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টায় ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং। খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে ১৯৬টি কেন্দ্রে ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে। দীঘিনালা জামতলী আনসার ভিডিপি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সঞ্চয়ন চাকমা জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা দীঘিনালা শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিথিলা রোওয়াজা খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন।

সর্বশেষ খবর