বংশাই নদীতে সেতু না থাকায় সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার সীমান্তবর্তী ৯টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে চলাচলে ১০০ ফুট বাঁশের সাঁকোই স্থানীয়দের একমাত্র ভরসা। বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হাটবাজারসহ নিত্য প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে, জানায় এলাকাবাসী। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হতে হয় শিশু, বয়স্ক, রোগী ও গর্ভবতী মায়েদের। সরেজমিনে দেখা যায়, বংশাই নদীর পাড়ঘেঁষা সখীপুরের হাতীবান্ধা, বেড়বাড়ী, নাইকেনবাড়ি, রতনপুর, কাঞ্চনপুর এবং বাসাইল উপজেলার চাকদহ, রাসরা, মিরিকপুর, ছৈদামপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে। দুই উপজেলার সীমান্তের একমাত্র সাপ্তাহিক হাট বংশাই নদীর পাড়ঘেঁষা চাকদহ হাট। আশপাশে চার কিলোমিটারের মধ্যে কোনো হাটবাজার না থাকায় এই চাকদহ বাজারের সাপ্তাহিক হাটে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেচাকেনা করতে আসে সেখানকার মানুষ। এ হাট থেকে ধান-চাল, সার-কীটনাশকসহ বিভিন্ন সামগ্রী কিনে ওই সাঁকো দিয়ে চলাচল খুবই কষ্টকর। সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয় শিশু, বয়স্ক, অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী মায়েরা। বংশাই নদীতে সেতু না থাকায় অসুস্থ রোগী নিয়ে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে বাসাইল ও সখীপুর উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয় এ এলাকার মানুষের। নির্বাচনের সময় ভোটের জন্য চাকদহ গ্রামে সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেয় অনেকেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কথা রাখেনি। অনেক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু বংশাই নদীর চাকদহ গ্রামের সেতু হয়নি। রাসরা গ্রামের সুজন মিয়া বলেন, বর্ষার সময় নদীতে অনেক স্রোত থাকে তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। স্থানীয় দানজে আলী বলেন, সেতুর অভাবে এই এলাকার অনেক মানুষকে সিএনজি, মোটরসাইকেল ও অটোগাড়ি নিয়ে ১৫ কিলোমিটার বা তারও বেশি সড়ক ঘুরে বাড়ি আসতে হয়। সমাজসেবক ফজলুর রহমান বলেন, সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার সামগ্রিক দিক থেকে চাকদহ গ্রামটি এখনো অবহেলিত। শুধু যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে শত বছরের চাকদহ হাট হারিয়ে যাওয়ার পথে। বংশাই নদীর ওপর সেতু হলে দুই উপজেলার ৯টি গ্রামের মানুষের চলাচলের সুবিধা হবে। সখীপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল বাসেদ মিয়া বলেন, বংশাই নদীর চাকদহ এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।