বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

তিন কারণে হার তিন এমপির

নওগাঁ

নওগাঁ প্রতিনিধি

তিন কারণে হার তিন এমপির

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনের এমপি ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক দলের মনোনয়ন না পেয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ১৯০টি। নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী জামানত হারিয়েছেন। ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিকের মতো দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নৌকার প্রার্থীর কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনের এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার। আর নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরেছেন নওগাঁ-৬ (রাণীনগর ও আত্রাই) আসনের এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা বলছেন, অনিয়ম-দুর্নীতি ও জনবিচ্ছিন্ন থাকায় ওই তিন এমপি নির্বাচনে হেরেছেন। নওগাঁ-৪ আসনে এ ধরনের ফলকে সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দীনের ভরাডুবি হিসেবে দেখছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। ইমাজ উদ্দীন পরাজিত হওয়ায় তারা কেউই বিস্মিত নন। বরং অনেকে জোর দিয়ে বলেছেন, কাক্সিক্ষত রায় পেয়েছে ভোটাররা। মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মন্ডল বলেন, ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর বয়স ৮০-এর ওপরে। বয়স ও অসুস্থতার কারণে পাঁচ বছর ধরে এলাকার জনগণকে তেমন সময় দিতে পারেননি। বেশির ভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করার কারণে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনে তারই প্রভাব পড়েছে। নওগাঁ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৌরেন্দ্রনাথের পক্ষে ছিলেন মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার, তাঁর ছেলে সাকলাইন আহমেদ তরফদার রকি, ভাগনে সাঈদ হাসান তরফদার শাকিলের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ছলিম উদ্দিন ও তাঁর স্বজনদের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর এলাকার প্রায় সবাই জানে। এটা তাঁর হারের প্রধান কারণ। নওগাঁ-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের কাছে ৬ হাজার ৭৫৬ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ-৬ আসন শূন্য হলে ২০২০ সালে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন আনোয়ার হোসেন হেলাল। আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল বলেন, আনোয়ার হোসেন হেলাল মাত্র তিন বছর সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ তিন বছরেই তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ সময়ের মধ্যে তাঁর ছেলেমেয়েরা শূন্য থেকে কোটিপতি বনে গেছেন। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই মানুষ তাঁকে আর বেছে নেয়নি।

সর্বশেষ খবর