দীর্ঘদিন ধরে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাগারহাট পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইলিশা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাবুল মোল্লার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। প্রায় দুই বছর ধরে সাধারণ রিকশা, সিএনজিঅটোরিকশা চালকরা ওই রাস্তায় যেতে রাজি হন না।
পথচারীরা জানান, সাত-আট বছর ধরে সড়কটির এমন বেহাল দশা। বিশেষ করে ওই সড়কে ভারী ভারী ট্রাক যাতায়াতের ফলে অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে। এ সড়কের পাশে ১০/১২টি ইটভাটা আছে। বেশ কিছু বালু মহালও আছে। দুই বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সড়কটি মেরামত করে। তবে এরপরই তা আবার নষ্ট হয়ে যায়।
ওই সড়কে যারা নিয়মিত যাতায়াতকারী কয়েকজন জানান, বর্ষার সময় জনদুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করে। বর্ষায় কাদাপানি আর শীতে ধুলাবালুতে পথচারী, শিক্ষার্থী ও আশপাশের মানুষ নাকাল হচ্ছে। এটি সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ও বাপ্তা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। মালবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করে এ রাস্তা দিয়ে। ওই রাস্তার দুই পাশে শত শত বসত বাড়ি রয়েছে। রয়েছে ৫-৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ মাদরাসা। সড়কটির এক পাশে খাল থাকায় গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক ইটভাটা ও বালু মহাল। অপরিকল্পিত গড়ে তোলা এসব বালু মহাল বা বালুখলা। একটু বাতাস হলেই মানুষের চোখে মুখে গিয়ে বালু পড়ে। সরেজমিন এমনই চিত্র দেখা গেছে সড়কটিতে। রিকশাচালকরাও এখন ওই সড়কে যেতে চান না। যানবাহন তো দূরে থাক, পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে পথচারীদের।স্থানীয় স্কুল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন এখান দিয়ে শতাধিক মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। বোরাক, মোটরসাইকেল, রিকশা, নসিমন-করিমন চলে কয়েক শত। এলজিইডি সড়কটি নির্মাণ করেছে রিকশা ও পায়ে চলার মতো করে। তাই সংস্কারের কয়েক দিনের মধ্যেই গর্ত তৈরি হয়।
তারা আরও জানান, যেখানে যেতে রিকশা ভাড়া লাগত ২০ টাকা। সেখানে এখন ১০০ টাকায়ও রিকশা যেতে চায় না। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রায়ই হেঁটে যাতায়াত করতে হয় তাদের।
সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার জানান, ইলিশা বাসস্ট্যান্ড থেকে সেলটেক জাইল্যাবাড়ি-পাঙ্গাশিয়া বাজার, হাওলাদার বাজার সড়কটির দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৭ কিলোমিটার। সড়কটি আরও ১৮ ফুট প্রশস্ত হবে। ইতোমধ্যে সড়কটি পুনর্নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। কাজের ওয়ার্ক পারমিটও দেওয়া হয়েছে। সড়কের পাশে বিদ্যুতের পিলার ও বন বিভাগের গাছ সরিয়ে নেওয়া সাপেক্ষে দ্রুত কাজ শুরু করবে ঠিকাদার।