বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হোসনে আরা (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদরাসা ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হোসনে আরা নিমবাড়ী গ্রামের নাসির মিয়ার মেয়ে। তবে প্রতিপক্ষের দাবি, নিজেরাই মেরে তাদের হয়রানি করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। হোসনে আরার মা নাদিরা বেগম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিমবাড়ী গ্রামের মৃত সুদন ভূইয়ার ছেলে রতন মিয়া,  মোস্তফা মিয়া ও একই বাড়ির শিবা মিয়া এবং রুবেল মিয়া দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে থাকা হোসনে আরাকে ছুরিকাঘাত করে। মেয়েকে বাঁচাতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করে চলে যায় আক্রমণকারীরা। পরে আহত হোসনে আরাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. একরাম হোসেন মৃত ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত রতন মিয়া বলেন, কাবিলের গোষ্ঠীর লোকজনের করা আগের দুটি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে ১৫ জানুয়ারি। ওই রায়ে তাদের সাজা হবে জেনে প্রতিপক্ষের কাবিলের গোষ্ঠীর সাক্কু মিয়ার নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

দরিদ্র পরিবারটিকে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে এই হত্যা করা হয়েছে। নিজেদের সাজা থেকে বাঁচাতে এবং আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মেয়েটি সম্পর্কে ভাতিজি হয়। তাকে মারতে যাব কেন। আমাদের বিরুদ্ধে এটি পরিকল্পিত সাজানো ঘটনা।

কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহাম্মেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ বছর ধরে নিমবাড়ী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারে জমসেদ ভূইয়ার নেতৃত্বে কাবিলের গোষ্ঠী ও সুদন ভূইয়ার নেতৃত্বে পান্ডবের গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর পান্ডবের গোষ্ঠীর রহিজ মিয়া ও ২০২১ সালের ১৩ মার্চ রহিজের বড় ভাই ফায়েজ মিয়া কাবিলের গোষ্ঠীর লোকজনের হাতে হত্যার শিকার হয়। ওই ঘটনায় রহিজ হত্যার রায় হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ১৫ জানুয়ারি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর