বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

চলনবিলে ৫০ কিলোমিটার খাল দখলমুক্ত

নাটোর প্রতিনিধি

মৎস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলে খাল-বিল দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সিংড়ার আত্রাই মরা নদী ও ত্রিমোহনী এলাকার খাল-বিল দখলমুক্ত করতে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন। এ সময় নজরুল ইসলামের ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং তিনটি সেচ মোটর জব্দ করা হয়।

 নদী দখলমুক্ত রাখতে এলাকাবাসীর মাঝে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালান ইউএনও মাহমুদা খাতুন।

এর আগে মঙ্গলবার চলনবিলের তিশিখালী ও হুলহুলিয়া-সারদানগর খালে অভিযান চালিয়ে ৩০ কিলোমিটার খাল দখলমুক্ত ও খাল শুকিয়ে মাছ শিকারের অপরাধে ভুলু সরদার নামের একজনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও চারটি সেচ মেশিন জব্দ করেন সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান। দুই দিনের এই অভিযানে ৫০ কিলোমিটার খাল দখলমুক্ত এবং প্রায় লক্ষাধিক টাকার দেশীয় প্রজাতির মাছ উন্মুক্ত জলাশয়ে মুক্ত করা হয়। তিন অর্থ বছরে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনঃখনন করা সিংড়ার চলনবিলের ১৫৪ কিলোমিটার খালের অধিকাংশ বেচাকেনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কৃষকের সেচ সুবিধা বাধাগ্রস্ত ও জলজ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে এবং দেশীয় প্রজাতির মাছের বিলুপ্তি ঘটছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি খাল-বিল দখল করে শুকিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। জনস্বার্থে সরকারি খালগুলো দখলমুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদফতর বদ্ধপরিকর। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, উন্মুক্ত জলাশয়গুলো শুকিয়ে মাছ শিকারের ফলে চলনবিলের দেশীয় প্রজাতির মাছের বিলুপ্তির পাশাপাশি জলজ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর