শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাহাড়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড

পাহাড়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা সদরের চেয়ে এর প্রকোপ উপজেলায় বেশি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী। শিশুদের পাশাপাশি বৃদ্ধরাও আক্রান্ত হচ্ছে এসব রোগে।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে দেখা গেছে, শয্যার চেয়ে রোগী কয়েকগুণ বেশি। ১০০ শয্যার রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে রোগী ভর্তি হচ্ছে প্রতিদিন ১৫০-২০০ জন। শয্যা সংকটে বাধ্য হয়ে অনেক রোগীকে রাখা হচ্ছে মেঝেতে। হাসপাতালে জনবল সংকট থাকায় রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের।

বিলাইছড়ি থেকে জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত শিশু রোহানি তঞ্চঙ্গ্যাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন মা মিনতি তঞ্চঙ্গ্যা। তিনি বলেন, পাহাড়ে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এ জন্য বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট বেড়েছে, শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। মাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা রেহেনা বেগম বলেন, ঠান্ডার কারণে তার মায়ের হাত-পা ফুলে গেছে। শ্বাসকষ্টও বেড়েছে। রোগী বেশি হাসপাতালে, তাই বাধ্য হয়ে মেঝেতে শয্যা করতে হয়েছে।

টাইফয়েড নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নাসরিন আক্তার বলেন, জ¦র মাপার যন্ত্র থার্মোমিটার কিনে না আনায় নার্সদের কাছে শুনতে হয়েছে নানা কথা। স্যালাইন শেষ হয়ে হাত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এত করে ডাকলাম। তবুও একজন নার্স আসেনি রোগীর হাতের ক্যানোলা খুলতে।

রাঙামাটি আরএমও ডা. সওকত আকবর বলেন, রোগী বেশি। তবে চিকিৎসার কমতি নেই। আমরা চেষ্টা করছি যথাযথ চিকিৎসা দিতে। তবে শয্যা, ওষুধ আর জনবল সংকটে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাঙামাটি ৯টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্যালাইন সঙ্কট

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে খাবার স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। ছয় মাস ধরে স্যালাইন সরবরাহ নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। স্যালাইন এলেই রোগীদের সরবরাহ করা হবে। সূত্র জানায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসে ৩০০-৪০০ রোগী। এর মধ্যে গড়ে শতাধিক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অধিকাংশ রোগীকে প্রেসক্রিপশনে দেওয়া হয় খাবার স্যালাইন। ডাক্তার লিখে দিলেও হাসপাতালের ডিসপেনসারিতে গেলে বলা হয় খাবার স্যালাইন নেই। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে স্যালাইনের সরবরাহ হচ্ছে না। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। স্যালাইন সরবরাহ হলেই আমরা তা রোগীদের দিতে পারব।

সর্বশেষ খবর